ভারতে কয়েকদিন যাবৎ আবার নতুন করে ঝাঁকিয়ে বসছে করোনা ভাইরাস। তবে তা যে কেবল দক্ষিণ আফ্রিকা কিংবা করোনার বিলিতি স্ট্রেনের জন্য এমনটা নয়। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন ভারতেই করোনার ৭ হাজার বার মিউটেশন হয়েছে। এখন কোন স্ট্রেন কী সেটা বোঝা সম্ভব নয়। তবে ভয়ঙ্কর ঝুঁকির কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তাঁরা।
সোমবার কাউন্সিল ফর সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজির ডিরেক্টর রাকেশ মিশ্র জানান এই রূপ পরিবর্তনকারী ভাইরাসটির মধ্যে একটি N440K নামক ভ্যারিয়েন্ট রয়েছে। যা অত্যন্ত সংক্রামক। এই ভ্যারিয়েন্টটি দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে প্রবলভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এই সংস্থাটি একাই দেশের মোট ৫ হাজারটি করোনাভাইরাস ভ্যারিয়েন্টের উপর কাজ করেছে। কীভাবে অতিমারীর নেপথ্যে এই সমস্ত ভ্যারিয়েন্ট কাজ করেছে সেই বিষয়ে বিশদ তথ্যও প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন, ফের বাড়ছে করোনা, দেশে ‘হার্ড ইমিউনিটি’ তৈরিই হয়নি, জানাল সমীক্ষা
সিসিএমবি বিজ্ঞানীদের একটি দল তাদের গবেষণাগুলি ‘SARS-CoV-2 genomics: An Indian perspective on sequencing viral variants- পেপারে প্রকাশ করেছে। সেই প্রসঙ্গে রাকেশ মিশ্র বলেন, "দেশে ৭ হাজারের বেশি করোনভাইরাস মিউটেশন রয়েছে।" অতিমারীতে আক্রান্ত ভারতে যখন দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধি পায় সেই সময় থেকেই এই গবেষণা শুরু করে বিজ্ঞানীরা।
তবে এখনও ভারত আলাদা করে এই মিউটেশন নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না। ৬ হাজার ৪০০ জিনোম রেকর্ড করা সম্ভব হয়েছে এখনও পর্যন্ত। ভবিষ্যতে কীভাবে প্রভাব ফেলতে পারে এই মিউটেশনগুলি তা খতিয়ে দেখার কাজ চলছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন