Advertisment

‘হানি ট্র্যাপের’ ফাঁদে পড়ে ভয়ঙ্কর কাণ্ড DRDO বিজ্ঞানীর, গোপন ‘ব্রহ্মোস রিপোর্ট’ দেখানোর প্রতিশ্রুতি

ATS-এর তদন্তে উঠে এসেছে ভয়ঙ্কর তথ্য

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
ATS probe, DRDO espionage case, DRDO, Defence Research and Development Organisation, Indian Express, India news, current affairs

‘হানি ট্র্যাপের’ ফাঁদে পড়ে ভয়ঙ্কর কাণ্ড DRDO বিজ্ঞানীর, গোপন ‘ব্রহ্মোস রিপোর্ট’ দেখানোর প্রতিশ্রুতি

হানি ট্র্যাপের ফাঁদে ধরা পড়া DRDO বিজ্ঞানী PAK মহিলা গুপ্তচরকে ‘ব্রহ্মোস রিপোর্ট’ দেখানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ATS-এর তদন্তে উঠে এসেছে ভয়ঙ্কর তথ্য।  

Advertisment

হানি ট্র্যাপের ফাঁদে পড়ে ডিআরডিও বিজ্ঞানী পাক মহিলা গুপ্তচরকে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের গোয়েন্দা রিপোর্ট দেখানোরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। মহারাষ্ট্র ATS-এর তরফে জানানো হয়েছে, বিজ্ঞানী প্রদীপ কুরুলকার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে একথা বলেছিলেন ওই পাক তরুণীকে। পাকিস্তানি ওই তরুণী বিজ্ঞানীকে WhtsaApp-এ বেশ কিছু অশ্লীল বার্তা পাঠিয়ে, ভয়েস এবং ভিডিও কলের মাধ্যমে আকৃষ্ট করেন বলেই তদন্তে জানা গিয়েছে।

ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ডিআরডিও) এক বিজ্ঞানী, যিনি এক পাকি তরুণীর ফাঁদে পা দিয়ে দেশের ‘ভয়ঙ্কর ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্পের একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদন’ তাকে দেখানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এই গুপ্তচরবৃত্তির মামলায় মহারাষ্ট্রের সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াডের (এটিএস) তদন্তে জানা গেছে যে বিজ্ঞানী প্রদীপ কুরুলকার একটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে ওই তরুণীকে বলেছিলেন যে তিনি একজন তাকে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের গোয়েন্দা রিপোর্টও দেখাবেন। এই পাকিস্তানি মহিলা নিজেকে জারা দাশগুপ্ত বলে পরিচয় দেন।

হানি ট্র্যাপ মামলায় ডিআরডিওর গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থান (ইঞ্জিনিয়ার্স) বা (ডিআরডিও আরঅ্যান্ডডি-ই) গবেষণাগারের প্রধান কুরুলকারকে ৩ মে, এটিএস অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনে গ্রেফতার করে। ATS- জানিয়েছে ওইপাকিস্তানি মহিলা এই মামলার একজন অন্যতম অভিযুক্ত। 'ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস'-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, মহিলা গোয়েন্দা কুরুলকারের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করেন। তিনি বলেছিলেন যে তিনি ব্রিটেনের এক সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। তিনি ওই বিজ্ঞানীকে বেশ কিছু অশ্লীল বার্তা পাঠিয়ে, ভয়েস এবং ভিডিও কলের মাধ্যমে তাকে আকৃষ্ট করে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত একাধিক তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। ১০ জুন, ২০২২ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ এর মধ্যে কুরুলকারের সঙ্গে তার একাধিক কথোপকথন সামনে আসে।

ATS অভিযোগ করেছে যে জারা নামের ওই পাক তরুণী ডিআরডিও এবং ভারতের বেশ কয়েকটি প্রতিরক্ষা প্রকল্প সম্পর্কে কুরুলকারের কাছ থেকে গোপন তথ্য হাতিয়ে নিতে চেয়েছিলেন। এটিএস দু'জনের মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট উদ্ধার করেছে। চার্জশিটে সেটি একত্রিত করা হয়েছে। চার্জশিট অনুসারে, দুজনের মধ্যে ১৯ অক্টোবর, ২০২২ এবং ২৮অক্টোবর, ২০২২-এর মধ্যে ‘ব্রাহ্মোস’ সম্পর্কে কথোপকথন হয়।

জারার একটি প্রশ্নের উত্তরে কুরুলকার বলেছিলেন যে 'আমার কাছে ব্রহ্মোস ভেরিয়েন্টের প্রায় 186টি A4 আকারের প্রাথমিক নকশার রিপোর্ট রয়েছে।' যা ইমেল করা যাবে না, এটি অত্যন্ত গোপনীয়...তবুও আমি আপনাকে সেই রিপোর্ট দেখানোর চেষ্টা করব।' এটিএস তার চার্জশিটে বিশেষভাবে এই চ্যাটটি হাইলাইট করেছে। হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইমেলে সেই রিপোর্ট শেয়ার করা যাবে না জেনেও কুরুলকার জারাকে বলেছিলেন যে তিনি যখন 'একান্তে তার সাথে দেখা করবেন' তখন তিনি তা তাকে দেখাবেন।

DRDO
Advertisment