অস্ত্রোপচার হয়েছিল গত বছর ২ নভেম্বর। কিন্তু সি মহেশ্বরীর তলপেটের ব্যথাটা ভোগাচ্ছিল তারপর থেকেই। পরিবারের লোকেরা ভেবেছিলেন অপারেশনের পর যেরকম একটু আধটু ব্যথা থাকে, তাই-ই হবে আর কী! কিন্তু দিন যায়, আর ব্যথা বাড়তেই থাকে। শেষমেশ এক্সরেতে ধরা পড়ল সত্যিটা। মাস তিনেক আগে অস্ত্রোপচার শেষে নিজাম ইন্সটিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এনআইএমএস) -এর চিকিৎসকেরা ভুল করে রোগীর পেটেই ফেলে এসেছিলেন কাঁচি।
এবার সেই কাঁচি উদ্ধারে ফের কাঁচি চালাতে হচ্ছে রোগীর শরীরে। তলপেটে অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে হায়দরাবাদের এনআইএমএস-এ সম্প্রতি ফের ভর্তি হন মহেশ্বরী। এক্সরেতে ধরা পড়ে শেষ অস্ত্রোপচারে ব্যবহৃত কাঁচিটি পড়ে রয়েছে পেটেই। প্রথমে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করলেও পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দ্বিতীয় অস্ত্রোপচারটি বিনামূল্যেই করবে তারা।
আরও পড়ুন, শতায়ু হলে তবেই মিলবে ধূমপানের ছাড়পত্র
মহেশ্বরীর এক আত্মীয় জানিয়েছেন, গত বছর ৩০ অক্টোবর হার্নিয়ার অপারেশন করাতে হায়দরাবাদের এই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। ১২ নভেম্বর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। "তার পর থেকে মাঝেমাঝেই তিনি পেটে ব্যথার কথা বলতেন। এতদিনে জানতে পারলাম যে কাঁচি দিয়ে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল, সেটি পেটের ভেতরেই রয়ে গিয়েছে। অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আমরা আরএমও-র কাছে অভিযোগ জানিয়েছি"।
Read the full story in English