উগ্রবাদ ও চরমপন্থাই এখন সব চেয়ে বড় বিপদ। এর বিরুদ্ধে লড়তে নির্দিষ্ট কার্যকরী মানদণ্ড তৈরি করতে হবে। সাংহাই কর্পোরেশন অর্গানাইজেশনের ভার্চুয়াল সম্মেলনে এই বার্তাই দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, 'সংগঠনের কী ভবিষ্যত তা নির্ধারণের এটাই সঠিক সময়। শান্তি, নিরাপত্তা ও আস্থা বর্ধনই এখন সংগঠনের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এইসব সমস্যার শিকড় জড়িয়ে রয়েছে চরমপন্থার সঙ্গে। আফগানিস্তানের পরিস্থিতি মৌলবাদের বৃদ্ধির বিষয়টি স্পষ্ট করেছে। উগ্রবাদ ও চরমপন্থার মোকাবিলায় সাংহাই কর্পোরেশন অর্গানাইজেশনকে অবিলম্বে নির্দিষ্ট ও কার্যকরী মানদণ্ড নির্ধারণ করতে হবে।'
মধ্য এশিয়ার আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা পক্ষে সাওয়াল করে ভারতের বিশাল বাজারের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। মোদীর কথায়, 'মধ্য এশিয়ায় সমস্ত দেশের মধ্যে পারিস্পারিক সম্পর্ক যাতে ভাল থাকে এবং যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে যাতে সেই সম্পর্কে পোক্ত হয়, তার নিরলস চেষ্টা করতে হবে সকল সদস্য রাষ্ট্রকেই।' যে কোনও আন্তর্জাতিক বিষয়ে নিজেদের মধ্যে বোধাপড়া কীভাবে বৃদ্ধি করা যায় তা খুঁজে বের করারয় গুরুত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী।
যুব সমাজকে বিজ্ঞানমুখী করে তোলারও বার্তা দিয়েছেন মোদী। বলেছেন, 'নবপ্রজন্মের প্রতিভাসম্পন্নদের অবশ্যই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমুখী করতে হবে, এতে উৎসাহ দিতে হবে। সার্বভৌমত্ব্য বজায় রেখে সংগঠনের সদস্য সব দেশকে সংযোগমূলক প্রকল্পে কাজ করতে হবে।'
সাংহাই কর্পোরেশনের নবম সদস্য হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ইরান। স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী। বলেছেন, 'ভারত ইরানের চাবাহার বন্দরের সাহায্যে আফগানিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার চেষ্টা করছে। তবে যে কোনও প্রকল্পই যে প্রতিটি দেশের সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করে গ্রহণ করা হয়।' মনে করা হচ্ছে, চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের প্রসঙ্গের ইঙ্গিত দিয়ে এই কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন