আইন প্রণয়নের মাধ্যমে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং মোবাইল নম্বরের সঙ্গে আধার সংযুক্তিকরণের পথ এখনও খোলা রয়েছে বলে মনে করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তথা বিশিষ্ট আইনজীবী অরুণ জেটলি। একটি আলোচনা সভায় জেটলি বলেন, সার্বিকভাবে আধার আইনকে বৈধ বলে রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু, চুক্তির ক্ষেত্রে তা বাতিল করা হয়েছে বলে মত তাঁর। এরপরই তিনি বলেন, সংসদ আইন তৈরি করে এই বিষয়টিকেও বৈধতা দিতে পারে। কিন্তু, মোদী সরকার সে পথে পা বাড়াবে কি না তা স্পষ্ট করেননি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, আধার সাংবিধানিকভাবে বৈধ কি না এবং আধার গোপনীয়তার অধিকার খর্ব করে কি না-সহ একগুচ্ছ আবেদন একসঙ্গে বিচার করে শীর্ষ আদালতের সাংবিধানিক বেঞ্চ। চলতি বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর আধার মামলার রায় ঘোষণা করতে গিয়ে আদালত স্পষ্ট করে দেয় যে, আধার বৈধ। কিন্তু, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, টেলি পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা-সহ কোনও বেসরকারি কর্তৃপক্ষ আধার তথ্য চাইতে পারবে না। এমনকী স্কুল, কলেজ এবং বোর্ডগুলিকেও আধার তথ্য দেওয়ার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালত আরও জানায়, সেদিনের রায়ে যেসব সংস্থা আধার তথ্য গ্রহণের বৈধতা হারিয়েছে (পড়ুন, ব্যাঙ্ক, মোবাইল সার্ভিস প্রোভাইডার ইত্যাদি), তাদের এবার আবেদনের ভিত্তিতে সেইসব তথ্য মুছে ফেলতে হবে।
এদিন জেটলি জানিয়ে দেন, আদালত এই রায় দিলেও সংসদ আইন প্রণয়ন করে ব্যাঙ্ক, মোবাইল সার্ভিস প্রোভাইডারদের সেই ক্ষমতা দিতেও পারে। কিন্তু, সেক্ষেত্রে কি সুপ্রিম রায়ের পরিপন্থী পদক্ষেপ হবে না? কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তথা আইনজ্ঞ জেটলির দাবি, সরকারের তরফ থেকে আদালতকে বোঝাতে হবে কোন বাস্তবতার প্রেক্ষিতে তারা এমন সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। তাঁর আরও দাবি, একাধিক সরকারি পরিষেবা ও অনুদান যথার্থভাবে নাগরিকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই আধার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে দেশে। এছাড়া, মূল আধার আইনকে বৈধতাও দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ফলে, আইন প্রণয়নের বিষয়েও আশাবাদী অরুণ জেটলি। কিন্তু, এই মুহূর্তে বা ভবিষ্যতে মোদী সরকার এমন পদক্ষেপ করবে কি না, সে বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।