G-20 সম্মেলনের জন্য প্রস্তুতি প্রায় শেষের পর্যায়ে। মূল ফটকে স্থাপন করা হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু নটরাজ মূর্তি। এর উচ্চতা ২৮ ফুট, প্রস্থ ২১ ফুট এবং ওজন প্রায় ১৮ টন।
নটরাজের মূর্তিটি শ্রী রাধাকৃষ্ণনের নেতৃত্বে তামিলনাড়ুর স্বামীমালাইয়ের ঐতিহ্যবাহী কারিগররা তৈরি করেছেন। ঈশ্বরের এই রূপটি ধর্ম, দর্শন, শিল্প, নৈপুণ্য এবং বিজ্ঞানের সমন্বয়। পাশাপাশি বিশেষ এআই অ্যাঙ্কর G20 অতিথিদের স্বাগত জানাবেন।
এটি বিশ্বের অষ্টধাতু দিয়ে তৈরি সবচেয়ে বড় নটরাজ মূর্তি। এই মূর্তি অসীম শক্তির প্রতীক। G20-এর বিদেশী অতিথিদের স্বাগত জানাতে দিল্লিতে পুরোদমে প্রস্তুতি চলছে। এমন পরিস্থিতিতে ‘ভারত মণ্ডপ’কে সাজানো হয়েছে বিশেষ সাজে।
নয়াদিল্লিতে ইন্ডিয়া ট্রেড প্রমোশন অর্গানাইজেশন (আইটিপিও) কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠানস্থলের সামনে নটরাজের ২৮-ফুট লম্বা ব্রোঞ্জের মূর্তি, স্থাপন করা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এটি বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা নটরাজ মূর্তি। এখানেই ৯-১০ সেপ্টেম্বর G20 শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির মাধ্যমে বিদেশি অতিথিদের স্বাগত জানানো হবে। যেখানে ভারতীয় সাজে এআই অ্যাঙ্কর উপস্থিত থাকবেন। এই এআই অ্যাঙ্কররা বিদেশী অতিথিদের স্বাগত জানাবে। ভারতের গণতন্ত্রের ঐতিহ্য কতটা পুরনো, কতটা গভীর এবং স্পষ্ট, এই সবই প্রযুক্তির মাধ্যমে G20-এর অতিথিদের সামনে তুলে ধরা হবে। তামিলনাড়ু থেকে ২৮ ফুট লম্বা নটরাজ মূর্তি আনা হয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, এটি বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা নটরাজ মূর্তি বলে মনে করা হয়। এই ভাস্কর্যটি তামিলনাড়ুর স্বামীমালাই জেলার বিখ্যাত ভাস্কর দেবসেনাপতি সাতপতির ছেলেরা তৈরি করেছেন।
সোনা, রূপা, কাঁচ, তামা, টিন, পারদ, দস্তা ও লোহাসহ আটটি ধাতু দিয়ে তৈরি এই মূর্তি। নটরাজকে হিন্দু দেবতা 'শিব'-এর একটি রূপ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। মূর্তি তৈরি করতে প্রায় ৬ মাসেরও কিছু বেশি সময় লেগেছে বলেই জানা গিয়েছে।
৯-১০ সেপ্টেম্বর দুই দিনের G20 শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে দিল্লিতে। শীর্ষ সম্মেলনটি প্রগতি ময়দানে নতুন উন্নত কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানের বিভিন্ন প্রতিনিধিদের থাকার জন্য শহর জুড়ে অন্তত ২৩টি বিলাসবহুল হোটেল বুক করা হয়েছে।