'আদানি মামলায় সেবিকে খোঁচা! 'দ্বিতীয় এসবিআই' হবে না তো? নির্বাচনের আগে প্রশ্ন তুলল কংগ্রেস। এর পাশাপাশি কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেছেন, 'আগামী তিন মাসের মধ্যে জেপিসি গঠিত হবে'।
নির্বাচনী বণ্ড নিয়ে এসবিআইকে বারে বারে সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়। অবশেষে সুপ্রিম তিরস্কারের এক প্রকার বাধ্য হয়েই নির্বাচনী বণ্ড সংক্রান্ত সকল তথ্য কমিশনের কাছে তুলে দেয় এসবিআই। সেই প্রসঙ্গ তুলে কংগ্রেস বুধবার বলেছে, 'আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে ওঠা স্টক ম্যানিপুলেশনের অভিযোগের যে তদন্ত চালাচ্ছে সেবি, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর সেই সেবি ফের সুপ্রিম কোর্টের কাছ থেকে বাড়তি সময় চাইবে না তো'?
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেছেন যে 'সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (সেবি)র কখনই দ্বিতীয় এসবিআই হওয়া উচিত নয়'। এক্স-এর একটি পোস্টে, রমেশ বলেছেন যে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ গত বছর আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে স্টক ম্যানিপুলেশন এবং সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগ করেছিল। আদানি গ্রুপ এই অভিযোগগুলিকে মিথ্যা বলে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং বলেছে সংস্থা সকল আইন মেনেই চলেছে।
রমেশ বলেছেন, "সেবি-কে এই অভিযোগগুলির বিষয়ে ১৪ আগস্ট, ২০২৩ এর মধ্যে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল৷ বারবার এক্সটেনশন চাওয়ার পরে, সুপ্রিম কোর্ট সেবিকে আজ, ৩ এপ্রিল, ২০২৪ পর্যন্ত সময় দিয়েছে "আমরা সেবির তরফে আদালতে তার প্রতিবেদন জমা দেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি৷ আমরা আশা করি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর আবার সেবি তদন্তে আরও সময় চাইবে না'। তিনি আরও বলেন, "সেবিকে কখনই দ্বিতীয় এসবিআই হওয়া উচিত নয়, এবং সত্য সামনে আনতে ভয় পাওয়া উচিত নয়।"
রমেশ আরও বলেছিলেন, "সেবির তদন্ত সীমিত। কেবল মাত্র JPC আদানি কেলেঙ্কারীর পর্দা ফাঁস করতে পারে। পাশাপাশি তিনি বলেন, আর মাত্র তিন মাস এরপরই জেপিসি গঠিত হবে'। সাত দফায় লোকসভা নির্বাচন শুরু হবে ১৯ এপ্রিল থেকে। কংগ্রেস আদানি ইস্যুতে সরকারকে অনেক প্রশ্ন করেছে যার বেশিরভাগের উত্তরই সরকারের তরফে সামনে আনা হয়নি।