দক্ষিণ কাশ্মীরে একসপ্তাহে সেনা-জঙ্গি গুলিবিনিময়ে দ্বিতীয় নাগরিকের মৃত্যু হল। রবিবার দক্ষিণ কাশ্মীরে জঙ্গিদমন অভিযান চালায় জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীর বিশেষ দল। অভিযান চলাকালীন উভয়পক্ষের মধ্যে শুরু হয় গুলিবিনিময়। যার মাঝে পড়ে এক সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখা জানিয়েছে, সংক্ষিপ্ত গুলিবিনিময় চলাকালীন জঙ্গিরা পালিয়ে যায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত সাধারণ নাগরিকের নাম শোয়েব আহমেদ গনাই। তিনি দক্ষিণ কাশ্মীরের সোপিয়ান এলাকার তুর্কওয়ানগাম গ্রামের বাসিন্দা।
রবিবার দুপুরে এই অভিযানে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের জওয়ানদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ানরাও ছিলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, যৌথ নিরাপত্তাবাহিনী রুটিনমাফিক টহল দিচ্ছিলেন। সেই সময় এক সেতুর কাছে তারা জঙ্গিদের মুখোমুখি হয়। এই সেতু পুলওয়ামা এবং সোপিয়ান জেলাকে যুক্ত করেছে। নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানদের দেখেই জঙ্গিরা গুলি চালাতে শুরু করে। পালটা গুলি চালাতে শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনীও। এই গুলিবিনিময়ের মধ্যে পড়ে এক সাধারণ নাগরিক জখম হন। তাঁকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে পুলওয়ামা জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ওই নাগরিক মারা যান।
আরও পড়ুন- ধর্ষণে অভিযুক্ত রাজস্থানের মন্ত্রীপুত্র পলাতক, জানাল দিল্লি পুলিশ
এই ব্যাপারে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ টুইটে জানিয়েছে, 'নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানদের দেখেই জঙ্গিরা গুলি ছুড়তে শুরু করে। পুলওয়ামার লিটার গ্রামের সঙ্গে সোপিয়ানের তুর্কওয়ানগামের সংযোগকারী সেতুর কাছে ঘটনাটি ঘটে। গুলিতে পালটা জবাব দেয় যৌথবাহিনীও। সেখানেই সংঘর্ষের মাঝে পড়ে এক সাধারণ বাসিন্দা আহত হন। ওই বাসিন্দার নাম শোয়েব আহমেদ গনি। তাঁর বাবার নাম গনি মহম্মদ। তাঁকে চিকিত্সার জন্য পুলওয়ামা জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই সুযোগে জঙ্গিরা কাছের বাগানে গা ঢাকা দেয়। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে, তদন্ত চলছে।' এর আগে গত ১০ মে, দক্ষিণ কাশ্মীরের সোপিয়ানেই নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের গুলিবিনিময়ে এক সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছিল। সেই সময়ও গুলিযুদ্ধ চলাকালীন জঙ্গিরা গা ঢাকা দিয়েছিল।
Read story in English