রাজধানীতে থাবা চওড়া হচ্ছে মাঙ্কিপক্সের। এবার আরও এক নাইজেরিয়ান তরুণ মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হলেন। দিল্লিতে থাকা ৩১ বছরের ওই নাইজেরিয়ান নাগরিকেরও মাঙ্কিপক্স টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। দিল্লিতে এখনও পর্যন্ত মোট তিন জন মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হলেন। রবিবার এবং সোমবার দিল্লির লোক নায়ক হাসপাতালে ভর্তি হওয়া নাইজেরিয়ার তিন নাগরিকের মধ্যে দু'জনের শরীরেই মিলেছে মাঙ্কিপক্সের ভাইরাস। উল্টোদিকে, এদিনই দিল্লিতে মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত প্রথম ব্যক্তিকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
সোমবারও দিল্লিতে এক নাইজেরিয়ান নাগরিকের মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হওয়ার খবর মেলে। গতকাল ওই ব্যক্তির শরীরে মাঙ্কিপক্সের ভাইরাস মেলার পর আজ ফের এক নাইজেরিয়ান নাগরিকের শরীরেও একই ভাইরাসের হদিশ মিলল। জানা গিয়েছে, মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত দুই নাইজেরিয়ানই দিল্লির রেস্তোঁরায় কাজ করেন।
করোনার দোসর হয়ে এবার ঘুম কাড়ছে মাঙ্কিপক্সও। বিশ্বের বহু দেশে ইতিমধ্যেই আতঙ্ক তুঙ্গে তুলেছে এই ভাইরাস। ভারতে এখনও পর্যন্ত আট জন মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন। কেরলে পাঁচ আক্রান্তের প্রত্যেকেরই সংযুক্ত আরব আমিরশাহী থেকে ফেরার ইতিহাস ছিল। তবে দিল্লিতে তিন আক্রান্তের অবশ্য বিদেশ ভ্রমণের ইতিহাস নেই। মঙ্গলবার সংসদে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ড্যভিয়া বলেন, “এখনও পর্যন্ত দেশে আটটি কেস (মাঙ্কিপক্স) শনাক্ত করা হয়েছে। যাঁদের মধ্যে পাঁচজনের বিদেশ ভ্রমণের ইতিহাস রয়েছে। তাঁরা দুবাই বা শারজাহ থেকে ফিরেছিলেন।”
আরও পড়ুন- কবে থেকে কার্যকর হবে CAA, দিনক্ষণ জানিয়ে দিলেন অমিত শাহ
তিনি আরও বলেন, “আমরা কোভিড-১৯ মহামারীর সময় দেখেছি থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের পরেও কিছু মানুষকে শনাক্ত করা সম্ভব হয় না। তাঁরা খুব সহজেই দেশে ঢুকে পড়েন, কারণ তাঁরা প্যারাসিটামল খেয়ে নেন। আমরা দুবাই সরকারকে চিঠি দিয়েছি। তাঁদের ট্রেসিংয়ে আরও জোর দিতে আবেদন করা হয়েছে। ওঁদের কাছে এব্যাপারে তথ্য থাকলে দ্রুত আমাদের জানাতে আবেদন করা হয়েছে।”
উল্লেখ্য, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস আগেই একটি প্রতিবেদন প্রকাশ্যে এনেছিল। কেরলে মৃত ২২ বছরের তরুণের মাঙ্কিপক্স পজিটিভ রিপোর্ট থাকলেও তিনি কীভাবে সেখান থেকে ভারতের বিমানে উঠতে পারলেন তা খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় সরকার উদ্যোগী হয়। দুবাই সরকারের সঙ্গে এব্যাপারে যোগাযোগ করে কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুন- হাসপাতালে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, বেশ কয়েকজনের পুড়ে মৃত্যু
এদিকে, ভাইরাল ইনফেকশন ডিটেক্ট করার ব্যাপারে যাবতীয় তৎপরতা নিতে এবার আরও উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র। পরিস্থিতি নিরীক্ষণের জন্য নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) ডাঃ ভি কে পলের নেতৃত্বে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। টাস্কফোর্সে স্বাস্থ্য মন্ত্রক, ফার্মাসিউটিক্যাল এবং বায়োটেকনোলজি বিভাগের সচিবদের রাখা হয়েছে।