করোনা মোকাবিলায় বিশ্বের বহু উন্নত দেশের থেকেও ভাল কাজ করেছে ভারত। দেশে ক্রমাগত সুস্থতার হার বৃদ্ধি ও মৃত্যুহার কমার পরিসংখ্যান তুলে ধরে এমনই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। মঙ্গলবার তিনি আরও বলেন, যতক্ষণ না ভ্যাকসিন আসছে ততক্ষণ সামাজিক টিকা হিসাবে মুখে মাস্ক পরা, হাত স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার রাখা এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা জরুরি।
এদিকে, আইসিএমআরের দ্বিতীয় সেরো সার্ভের রিপোর্টে প্রকাশ, ভারতের জনসংখ্যার একটা বড় অংশ এখনও সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে মুক্ত নন। সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, আগস্ট মাসের মধ্যে প্রতি ১৫ জনের মধ্যে একজন ১০ বছরের বেশি বয়সের মানুষ কোভিডে সংক্রমিত হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন আইসিএমআরের অধিকর্তা বলরাম ভার্গব। পাশাপাশি, বিশ্বে করোনার থাবায় মৃতের সংখ্যা ১০ লক্ষ পেরোল এদিন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল এবং ভারতেই মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
আরও পড়ুন দু’দিন বাদেই দেশে আনলক ৫, অক্টোবরে আর কী কী খুলে যাচ্ছে?
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, কোভিড ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য ৮০ হাজার কোটি টাকার হিসাব নিয়ে নিশ্চিত নয় তারা। সেরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদার পুনাওয়ালা কয়েকদিন আগেই বলেছিলেন, সরকার কি ৮০ হাজার কোটি টাকা খরচ করতে রাজি কোভিড ভ্যাকসিন ভারতীয়দের মধ্যে বণ্টনের জন্য? তার উত্তরেই এদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সচিব রাজেশ ভূষণ জানিয়েছেন, ৮০ হাজার কোটি টাকার হিসাবের সঙ্গে সহমত নয় কেন্দ্র।
প্রসঙ্গত, এদিনই এক ধাক্কায় দৈনিক করোনা সংক্রমণের সংখ্যার বড়সড় পতন। বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে দৈনিক সংক্রমণের হার ৯০ ও ৮০ হাজারের সীমায় ছিল। কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান অনুসারে গত ২৪ ঘন্টায় তা অনেকটাই কমে হয়েছে ৭০,৫৮৯। দৈনিক করোনা আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার হারও বেশি হয়েছে। কমেছে দৈনিক মৃত্যুর হারও।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন