/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2024/07/ie-Devotees-during-the-reopening-of-Ratna-Bhandar-at-the-Jagannath-Temple-in-Puri-on-Sunday.-PTI.jpg)
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে রত্ন ভান্ডার পুনরায় খোলার সময় ভক্তরা। (পিটিআই/ফাইল)
Ratna Bhandar : পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভান্ডারে রয়েছে গোপন সুড়ঙ্গ? হাড়হিম সত্য প্রকাশ্যে!
প্রায় চার দশক পর ওড়িশার পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভান্ডারের দরজা খোলা হয়েছে। 'রত্ন ভান্ডার' খোলার পর থেকে মানুষের মধ্যে তা নিয়ে বেড়েছে কৌতুহল। রত্ন ভান্ডারকে কেন্দ্র করে একটি মত সামনে এসেছে। অনেকের ধারণা রত্ন ভান্ডারের ভিতরে রয়েছে এক গোপন সুড়ঙ্গ।
পূরীর জগন্নাথ মন্দির এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে । প্রায় ৪৬ বছর পর খোলা হয় জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভাণ্ডার। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ওড়িশা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি বিশ্বনাথ রথের তত্ত্বাবধানে মন্দিরের রত্ন ভাণ্ডার খোলা হয়েছে। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে অবস্থিত রত্ন ভান্ডারের ভিতরের কক্ষে একটি গোপন সুড়ঙ্গ রয়েছে বলেও অনেকে বিশ্বাস করেন।
কি বললেন পুরীর রাজা?
পুরীর গজপতি দিব্যা সিং দেব রত্ন ভান্ডারের ভিতরে একটি সুড়ঙ্গ নিয়ে জল্পনার বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা সংস্থা ASI এই বিষয়ের মূল্যায়ন করতে 'লেজার স্ক্যান'-এর মতো উন্নত প্রযুক্তিকে কাজে লাগাবে। এই ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে আদৌ রত্ন ভাণ্ডারে কোন গোপন সুড়ঙ্গ রয়েছে কিনা তা জানা যাবে।
আরও পড়ুন - < কোটা বিরোধী রক্তক্ষয়ী আন্দোলন, বাংলাদেশে মৃত বেড়ে ১০৫, দেশে ফিরলেন ৪০০ পড়ুয়া >
রত্নভাণ্ডার পরিদর্শনকালে কী পাওয়া গেল?
ওড়িশার পুরী জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভান্ডারের তত্ত্বাবধান কমিটির চেয়ারম্যান এবং উড়িষ্যা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি বিশ্বনাথ রথও সুড়ঙ্গের জল্পনা নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের পরিদর্শনকালে আমরা সুড়ঙ্গের মতো বিশেষ কিছুর প্রমাণ পাইনি। বিশ্বনাথ রথ সাধারণ জনগণ এবং মিডিয়াকে সোশ্যাল মিডিয়া এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে ভুল তথ্য না ছড়ানো অনুরোধ করেছেন। কমিটির সদস্য দুর্গা দশমহাপাত্র জানিয়েছেন, রত্নভাণ্ডারে কোনও গোপন কক্ষ বা সুড়ঙ্গ দেখা যায়নি। ছাদ থেকে অনেক ছোট পাথর খসে পড়ার পাশাপাশি রত্ন ভান্ডারের দেয়ালে কিছু ফাটল চোখে পড়েছে।
প্যানেলের চেয়ারম্যান বিচারপতি বিশ্বনাথ রথ দাবি করেছিলেন যে তারা এমন একটি সুড়ঙ্গের প্রমাণ খুঁজে পায়নি। তিনি সাংবাদিকদের আরও বলেন, অলঙ্কার সরাতে ৭.৫ ঘণ্টা সময় লেগেছে। তিনি আরও বলেন,রত্ন ভান্ডার থেকে সমস্ত অলঙ্কার এবং মূল্যবান জিনিসপত্র সরানো হয়েছে, এখন রত্ন ভাণ্ডার মেরামত করা কাজ হবে।