ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত হলেন ৮ জন। মর্মান্তিক দুর্ঘটনা সেকেন্দ্রাবাদের একটি বহুতলে। সোমবার রাতে এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দমবন্ধ হয়ে মারা গেছেন ৮ জন এমনটাই জানিয়েছে পুলিশে। ওই বহুতলেই থাকতেন নিহতরা।
জানা গিয়েছে, রাতেই মন্ত্রী শ্রীনিবাস যাদব এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহম্মদ মাহমুদ আলি সেখানে যান। সব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন, দুর্ঘটনার কারণ জানার চেষ্টা করেন। যাদব জানিয়েছেন, শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ায় ওই লজের কেউ বাইরে বের হতে পারেননি।
ওয়াই নাগেশ্বর রাও, মার্কেট থানার পুলিশ আধিকারিক দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, বহুতলের মালিকের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের হয়েছে। ওই বহুতলের গ্রাউন্ড ফ্লোরে একটি ইলেকট্রিক ভেহিকলের শোরুম ঠিল। সেখান থেকেই আগুন ছড়ায়। উপরের তলায় লজ ছিল। লজের চারতলায় ২৫ জন বোর্ডার ছিলেন। আগুন লাগার সময় একটাই মাত্র বাহির পথ দিয়ে তাঁরা বেরোতে পারেননি। তাঁরা ভিতরেই আটকে পড়েন। মালিক রাজেন্দ্র সিং বাগ্গা এবং তাঁর দুই ছেলের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। তদন্ত চলছে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, শোরুমে ৪০টি ইলেকট্রিক স্কুটার রাখা ছিল। সেগুলি চার্জিংয়ে রাখা ছিল বলে সন্দেহ পুলিশের। সেখান থেকেই আগুন লাগে। রাত ৯.৩৭ মিনিট নাগাদ দমকলের দুটি ইঞ্জিন প্রথমে ঘটনাস্থলে আসে। দমকল বিভাগ জানিয়েছে, আগুন লাগার পর বহুতলে ২৫ জন আটকে পড়েন। কালো ধোঁয়ায় নিঃশ্বাস নিতে সমস্যায় পড়েন অতিথিরা। কেন আগুন লাগার পর জলের স্প্রিংকলার চালু হয়নি সেটা খতিয়ে দেখা হবে।
২৫ জনের মধ্যে কোনওরকমে ১৫ জন পালাতে সক্ষম হন। দুজন জানলা থেকে ঝাঁপ দেন। দমকলকর্মীরা ৬ জনকে উদ্ধার করতে পেরেছেন। তাঁদের দুজন ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে চেন্নাই, কলকাতা, নয়াদিল্লি এবং বিজয়ওয়াড়ার বাসিন্দারা রয়েছেন।
মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের জন্য শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর দফতর। টুইট করে পরিজনদের সমবেদনা জানানো হয়েছে। পাশাপাশি নিহতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে পিএমও।