বুধবার ভোরে ফের হিংসায় কেঁপে উঠল মণিপুর। যার জেরে সীমান্ত শহর মোরেহতে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাটালিয়ন (আইআরবি) জওয়ান নিহত হয়েছেন। সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গিরা বুধবার মণিপুরের টেংনোপাল জেলার মোরেহ শহরে নিরাপত্তা বাহিনীর একটি গাড়িতে হামলা চালালে নিহত হয় এক পুলিশ কর্মী। মৃতের নাম ওয়াংখেম সোমরজিৎ। পুলিশ জানিয়েছে, সোমরজিৎ ইম্ফল পশ্চিম জেলার মালোমের বাসিন্দা।
বুধবার সকালে মোরেহ শহরের তিনটি ভিন্ন স্থানে সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলি বিনিময় হয়। পুলিশ জানিয়েছে যে সন্ত্রাসীরা এসবিআই মোরেহের কাছে একটি নিরাপত্তা চৌকিতে বোমা ছোঁড়ে এবং গুলি চালায়, নিরাপত্তা বাহিনীও পাল্টা জবাব দেয়। জঙ্গিরা অস্থায়ী কমান্ডো পোস্টেও আরপিজি শেল নিক্ষেপ করে, আশেপাশে পার্ক করা বেশ কয়েকটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে।সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গিরা একটি নিরাপত্তা চৌকিতে গুলি চালায়। ৪৮ ঘন্টা পর রাজ্য বাহিনী সীমান্ত শহরে পুলিশ কর্মীকে হত্যার ঘটনায় দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে।
বুধবার, রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের কমিশনার টি রঞ্জিত সিং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি লিখে ঘটনার কথা জানিয়েছেন। তিনি চিঠিতে লিখেছেন, “সীমান্ত শহর মোরেহে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি একটি গুরুতর উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠেছে। সেখানে ক্রমাগত গুলি বিনিময় হচ্ছে এবং এর ফলে আজ সকালে একজন আইআরবি কর্মী নিহত হয়েছে। বিরাজমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে মোরেহ-এর পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে, যে কোনো সময় মেডিকেল ইমার্জেন্সি দেখা দিতে পারে। পুলিশ বিভাগ আরও জানিয়েছে যে মোরেহে নিরাপত্তা কর্মী, গোলাবারুদ ইত্যাদি এয়ারলিফ্ট করারও প্রয়োজন রয়েছে,” ।
আরও পড়ুন: < Military Strength Ranking 2024: বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সেনাবাহিনীর তালিকায় রয়েছে ভারতের নাম, চিন,পাকিস্তান কত নম্বরে? >
বুধবার সকালে ফের হিংসা ছড়িয়ে পড়ে মণিপুরে। সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গিরা টেংনোপাল জেলার সীমান্ত শহর মোরেহতে নিরাপত্তা বাহিনীর একটি গাড়িতে হঠাৎ হামলা চালায়। এই হামলায় এক কমান্ডো শহীদ হন। পাল্টা গুলি চালাতে হয় নিরাপত্তা বাহিনীকেও। পুলিশ জানিয়েছে, জঙ্গিরা একটি নিরাপত্তা চৌকি লক্ষ্য করে বোমা ও গুলি ছুঁড়তে থাকে। ঘটনার পর এলাকায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এর আগে, মণিপুর সরকার ১৬ জানুয়ারি মধ্যরাত থেকে কারফিউ জারি করে।