Kahsmir: জঙ্গি-সেনা সংঘর্ষে কাশ্মীরে নিহত এক জঙ্গি। জানা গিয়েছে, বারামুলার এই সংঘর্ষে কুলগামের বাসিন্দা সেই জঙ্গি জাভেদ ওয়ানি মৃত। এই জাভেদ এবং তাঁর শাগরেদ গুলজার মিলে চলতি মাসে বিহারের দুই পরিযায়ী শ্রমিককে গুলি করে হত্যা হয়েছিল। সেই ঘটনার একমাসের মধ্যেই জাভেদকে নিকেশ করে বড় সাফল্য দেখছে সেনাবাহিনী।
কাশ্মীর পুলিশের আইজি বিজয় কুমার বলেছেন, ‘চেরদারি এলাকায় যৌথ বাহিনীর টহলদারির সময় তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় জাভেদরা। আমাদের বাহিনী পাল্টা জবাব দিলেই মৃত্যু হয় ওই জঙ্গির। তাঁর মৃতদেহের পাশ থেকে একটা পিস্তল, ম্যাগাজিন এবং একটা হাত গ্রেনেড উদ্ধার করেছে যৌথ বাহিনী।‘
জাভেদের ওপর দায়িত্ব ছিল বারামুলার ব্যবসায়ীদের নিকেশ করার। এমনটাই কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে খবর। এদিকে, সরকার কাশ্মীরিদের শুনবে। কাশ্মীরি যুবকদের সঙ্গে কথা বলবে। এভাবেই পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা প্রস্তাব সাম্প্রতিক সফরে খারিজ করেছেন অমিত শাহ। সম্প্রতি ইন্দো-পাক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পক্ষে সওয়াল করেন ফারুক আবদুল্লাহ। সোমবার শ্রীনগরের এক জনসভা থেকে সেই প্রস্তাব খারিজ করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সংবাদপত্রে দেখলাম ফারুক সাহেব বলেছেন কেন্দ্রের উচিত পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় বসা। উনি প্রবীণ রাজনীতিবিদ, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। এমন পরামর্শ দিতেই পারেন। কিন্তু ফারুক সাহেব, সরকার আপনাদের সঙ্গে উপত্যকার মানুষদের সঙ্গে কাশ্মীরি যুবকদের সঙ্গে কথা বলতে চায়। সেই জন্য আমি বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছি। আপনাদের সঙ্গে কেন কথা বলব না?’
তাঁর মন্তব্য, ‘আমাকে ব্যঙ্গ করা হয়েছে, কটু কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আগে আমি আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে চাই। তাই দেখুন আমার সামনে কোনও বুলেটপ্রুফ শিল্ড নেই নিরাপত্তারক্ষী নেই।‘
জম্মু-কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপের পর এই প্রথম জম্মু-কাশ্মীর সফরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। তাঁর উপস্থিতির মধ্যেই জোড়া জঙ্গি হামলায় রবিবার মৃত্যু হয়েছে দুই জনের। জখম তিন নিরাপত্তারক্ষী। তাই কাশ্মীরে শান্তি এবং স্থিতি ফেরাতে স্থানীয়দের সমস্যা বোঝা দরকার। যুব সম্প্রদায়কে কাছে টানা দরকার। এই নীতি ভালোই বুঝেছে মোদি সরকার। তাই কেন্দ্রের দূত হিসেবে খোদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর এই উপত্যকা সফর। এমনটাই সাউথ ব্লক সূত্রে খবর।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন