Advertisment

হিন্দুদের সংখ্যালঘু ঘোষণার দাবি খারিজ সুপ্রিম কোর্টের

আদালত জানায়, কোন গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়কে সংখ্যালঘু ঘোষণা করা হবে, আর কাদের হবে না, তা নির্ধারণ করা সরকারের কাজ, আদালতের নয়৷ তাছাড়া ধর্মের কোনও সীমা হয় না৷

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

সুপ্রিম কোর্ট

জনসংখ্যার ভিত্তিতে দেশে হিন্দুরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। কিন্তু, ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে রাজ্য রয়েছে যেকানে হিন্দুরা সংখ্যালঘু। সেই সব রাজ্যে হিন্দুদের সংখ্যালঘু ঘোষণার দাবি জানিয়ে বিজেপি মুখপাত্র তথা আইনজীবী অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায় পিটিশন দায়ের করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টে৷ মঙ্গলবার সেই পিটিশনই খারিজ করে দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত৷

Advertisment

বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায়ের দায়ের করা পিটিশনের শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদের নেতৃত্বে গঠিত তিন বিচারপতির বেঞ্চে৷ ভারতে পার্সি, মুসলিম, খ্রিষ্টান, শিখ এবং বৌদ্ধ এই পাঁচ ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যালঘুর মর্যাদা দেওয়া হয়েছে৷ ২৬ বছর আগে এই নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার৷ সেই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ জানান অশ্বিনী কুমার৷

আরও পড়ুন: ‘আগামী চারমাসেই অযোধ্যায় হবে গগনচুম্বী রাম মন্দির’

পিটিশনে বলা হয়, সংখ্যালঘু নির্ধারণে গাইডলাইন তৈরি হোক৷ এবং সেটা হোক রাজ্যগুলির জনসংখ্যার উপর ভিত্তি করে৷ দেখা গিয়েছে, জম্মু কাশ্মীর,পঞ্জাব, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর এবং লাক্ষাদ্বীপ এই সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে হিন্দুদের জনসংখ্যা তুলনামূলক অনেক কম৷ জনসংখ্যার অনুপাতে তাদের সংখ্যালঘু হওয়ার কথা৷ সেই কারণে সংখ্যালঘুদের জন্য যে সামাজিক, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা রয়েছে সেখান থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন হিন্দুরা৷ তাই এই আট রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে হিন্দুদের সংখ্যালঘুর মর্যাদা দেওয়া হোক৷

সু্প্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, কোন গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়কে সংখ্যালঘু ঘোষণা করা হবে, আর কাদের হবে না, তা নির্ধারণ করা সরকারের কাজ, আদালতের নয়৷ তাছাড়া ধর্মের কোনও সীমা হয় না৷ এর বিচার হওয়া উচিত প্যান ইন্ডিয়া ভিত্তিতে৷ আদালতের তরফে বলা হয়, 'ভাষা রাজ্যের গণ্ডির মধ্যে সীমাবন্ধ হলেও ধর্মের কোনও সীমা নেই। কাশ্মীরে মুসলমানরা সংখ্য়াগরিষ্ঠ হলেও অন্যত্র তা নয়। আবার লাক্ষাদ্বীপে মুসলমানরা বহু ক্ষেত্রেই হিন্দু আইন মেনে চলেন।'

Read the full story in English

supreme court
Advertisment