দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল চিনা আগ্রাসন নিয়ে কেন্দ্রকে তুলোধোনা করেছেন। তিনি জনসাধারণের কাছে চিনা পণ্য বয়কটের আবেদন করেছেন। তিনি বলেন, চিনা পণ্যের তুলনায় দেশীয় পণ্যের দাম দ্বিগুণ হলেও আমরা চিনা পণ্য কিনব না, দেশীয় পণ্য কিনব। পাশাপাশি তিনি এদিনের ভাষণে বলেন, একদিকে সীমান্তে আমাদের সেনারা জীবন বিপন্ন করে দেশকে রক্ষা করছে অন্যদিকে কেন্দ্র চিনের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াচ্ছে, সংসদে বিবৃতি দিয়ে জানাচ্ছে সীমান্তে সব কিছু ঠিক আছে।
"২০২০-২০২১ সালের ভারত-চিন বাণিজ্য প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, আমরা ২০২০-২০২১ সালের ৬৫ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ৫ লাখ কোটি টাকা) মূল্যের চিনা পণ্য আমদানি করেছি। পরিবর্তে সীমান্তে চিন আমাদের সেনাবাহিনীর ওপর হামলা চালাচ্ছে। কেন্দ্রকে একহাত নিয়ে কেজরিওয়াল বলেন, কেন্দ্রের উচিত অবিলম্বে চিনা পণ্য বয়কট করা।
এর আগে, অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে চিনা সেনাদের সঙ্গে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন কেজরিওয়াল। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সংঘর্ষের পর এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমাদের সেনাবাহিনী দেশের গর্ব। তার সাহসিকতাকে সেলাম জানাই। ভগবানের কাছে আহত সেনাসদস্যদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি’। হিমাচল প্রদেশ এবং গুজরাট নির্বাচনের পর আম আদমি পার্টি তাদের পরবর্তী রণকৌশল তৈরিতে ব্যস্ত। আজ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে আম আদমি পার্টির সমস্ত নির্বাচিত প্রতিনিধি এবং বর্তমান দলের জাতীয় আহ্বায়ক এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দের সভাপতিত্বে ‘জাতীয় কাউন্সিলের’ বৈঠক শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: < ‘চুরি করেছে CBI’, অভিযোগ লালনের স্ত্রীর, কেন্দ্রের সংস্থার বিরুদ্ধে বেনজির পদক্ষেপ CID-র >
কেজরিওয়াল আজকের সভামঞ্চ থেকে কেন্দ্রকে নিশানা করে বলেছেন যে চিন যখন ভারতকে আক্রমণ করছে, তখন বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার কেন চিন থেকে আমদানি অব্যাহত রেখেছে? তিনি বলেন, ‘আমি জনগণকে চিনা পণ্য বয়কট করার আহ্বান জানাচ্ছি, দাম দ্বিগুণ হলেও আমরা ভারতীয় পণ্য কিনব’। বৈঠকে, নেতারা দেশের বিভিন্ন অংশে আপের সংগঠন মজবুত করতে এবং ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে দলের একাধিক কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন।
সূত্রের খবর দলের ১০ জন রাজ্যসভার সদস্য এবং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। গুজরাট এবং হিমাচল নির্বাচনে পরাজয় সত্ত্বেও, আম আদমি পার্টি একটি জাতীয় দলের মর্যাদা অর্জন করেছে। সে কারণে আপ এখন অন্য রাজ্যেও নিজেদের সংগঠন তৈরিতে এবং লোকসভা নির্বাচনের আগে রণকৌশল তৈরিতে ব্যস্ত।