Advertisment

কড়া পুলিশি নজরদারিতে সীমা-শচীন, প্রেমকাহিনীর দফারফা  

প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে ক্লান্ত সীমা

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
"Seema haider, up ats, pak woman, crossed border, sachin seema, noida police, seema haider news, seema haider news today, seema haider latest news, Noida News in Hindi, Latest Noida News

প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে ক্লান্ত সীমা হায়দর। জানা গিয়েছে আপাতত পুলিশের নজরদারিতে রয়েছেন পাক যুবতী সীমা হায়দার ও শচীন। সীমা সংবাদ মাধ্যমের সামনে জানিয়েছে, প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন তিনি যা বলছেন সবটাই সত্য। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে সীমা হায়দারের কাছ থেকে মিলেছে বেশ কয়েকটি পাসপোর্ট। এরপর রহস্য উদঘাটনে নামেন গোয়েন্দারা। তিনজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। এরপরই তদন্তকারী সংস্থার সন্দেহ ঘনীভূত হয়।

Advertisment

তদন্ত সংস্থা সীমা হায়দার এবং শচীন সম্পর্কে প্রমাণ সংগ্রহ করছে যারা পাকিস্তান থেকে নেপাল হয়ে রাবুপুরায় পৌঁছেছেন। তাই পূর্ণাঙ্গ তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত দুজনই পুলিশের নজরদারিতে থাকবেন বলেই নির্দেশ। দুজনকে অন্য কারুক সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না।

সীমা যে আধার কার্ড থেকে পাসপোর্ট তৈরি করেছিলেন, সেখানে হানা দিয়ে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে। তিন দিন ধরে তাকে মিডিয়া বা বাইরের কারুর সঙ্গে দেখা করতে দেয়নি পুলিশ। তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে আরও কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করার বাকি রয়েছে। শচীনের বাড়ির বাইরে বসানো হয়েছে পুলিশি ক্যাম্প।  

যে দুজনকে পাসপোর্ট কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা হলেন, পবন ও পুষ্পেন্দ্র কুমার। তাদের কাছ থেকে ১৫টি জাল আধার কার্ড, তিনটি ল্যাপটপ, তিনটি প্রিন্টার এবং অন্যান্য জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। আসলে সীমা হায়দার পাকিস্তান থেকে নেপাল হয়ে আধার কার্ড দেখিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন।

এর মাঝে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সীমার প্রাক্তন স্বামী গোলাম হায়দারের ভিডিও। এই ভিডিওতে গোলাম হায়দার সীমা ও তার চার সন্তানকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য পাকিস্তান সরকারকে অনুরোধ করেছেন। ভারত সরকারের কাছেও তিনি আগেই এই আবেদন জানিয়েছেন।

পাকিস্তানের করাচির বাসিন্দা সীমা হায়দার এবং রাবুপুরার শচীন মীনা PUBG গেম খেলতে গিয়ে একে অপরের প্রেমে পড়েন। ভিডিও কলিংয়ের মাধ্যমে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে, সীমা ১৩ মে নেপাল হয়ে পাকিস্তান থেকে ভারতে আসেন।

সীমা চার সন্তানকে নিয়ে রবুপুরায় পৌঁছে আম্বেদকর নগরে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে শচীনের সঙ্গে থাকতে শুরু করে। পুলিশ গ্রেফতার করলেও পরে জামিন পায় সীমা। তারপর থেকে সীমার ওপর চলছে কড়া নজরদারি। শচীনের বাবা জানিয়েছেন, এভাবে পুলিশের নজরবন্দী হয়ে থাকায় প্রবল সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে পরিবারকে। এমনকী খাবার-মুদিও প্রায় ফুরিয়ে এসেছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পুলিশকে তদন্ত শেষের আর্জি জানিয়েছেন।

love
Advertisment