জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এবং ওমর আবদুল্লাহ ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে ২৬ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে চলা ইউনিফর্ম সিভিল কোড নিয়ে একটি সেমিনারের সমালোচনা করেছেন। সেনাবাহিনীর তরফে কাশ্মীরের মতো একটি "সংবেদনশীল" স্থানে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির মত বিষয়ে বিষয়ের উপর আয়োজিত হতে চলা সেমিনারের সমালোচনা করেছেন তিনি।
জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং ন্যাশনাল কনফারেন্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওমর আবদুল্লাহ শনিবার 'ইউনিফর্ম সিভিল কোডের' মত বিতর্কিত বিষয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর জড়িত থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
ভারতীয় সেনাবাহিনী চলতি মাসেই কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে এই সেমিনারটি অনুষ্ঠিত করতে চলেছে। এদিন স্পর্শকাতর রাজনৈতিক ও ধর্মীয় বিষয়ে সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ওমর আবদুল্লাহ।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, 'যে ভারতীয় সেনাবাহিনীর এই ধরণের প্রয়াস সেনাবাহিনীর মর্যাদাকে ক্ষুন্ন করতে পারে। পাশাপাশি সেনাবাহিনীর গায়ে রাজনীতিকরণ এবং ধর্মীয় বিষয়ে হস্তক্ষেপের দাগ লাগতে পারে'।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সাথে কথা বলার সময়, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রধান মেহবুবা মুফতি বলেছেন, “ভারতীয় সামরিক বাহিনী বিশ্বের চতুর্থ শক্তিশালী এবং অন্যতম শৃঙ্খলাবদ্ধ বাহিনী। কিন্তু যেহেতু বিজেপি ধর্মকে রাজনীতির সঙ্গে মিশিয়ে দিচ্ছে এবং দেশের সমস্ত পবিত্র প্রতিষ্ঠানকে ধর্মীয় মেরুকরণের আওতায় আনা হচ্ছে সেই নিরিখে এবার সেনাবাহিনীও তা থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখতে পারল না'।
উপত্যকায় বিজেপির মিডিয়া ইনচার্জ, সাজিদ ইউসুফ বলেছেন, "তিনি এই বিষয়ে কোন মন্তব্য করা ঠিক বলে মনে করেন না"। প্রতিরক্ষা মুখপাত্র সেমিনার সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব দেননি।
কী এই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি?
এক কথায় বলতে গেলে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি হল সকলের জন্য এক আইন, যা সারা দেশের সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ব্যক্তিগত ক্ষেত্রেও লাগু হবে। এর মধ্যে রয়েছে, বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ, উত্তরাধিকার, দত্তক প্রভৃতি।