ধান ও গম ভর্তি বস্তা উপচে পড়ছে ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার গুদামে। উদ্বৃত্ত এই ধান ও গাম অন্য দেশে পাঠাতে চায় খাদ্য মন্ত্রক। ইতিমধ্যেই তাদের প্রস্তাব পৌঁছেছে বিদেশমন্ত্রকে। খাদ্যের চাহিদা রয়েছে এমন কোনও দেশে এই ধান ও গম পাঠানো যায় কিনা তা খতিয়ে দেখতে দেখার জন্য বিদেশমন্ত্রককে অনুরোধ করা হয়েছে এইসিআই ও খাদ্যমন্ত্রকের তরফে। সূত্র মারফত এমনটাই জানতে পেরেছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
চলতি বছরের শুরুতেই সচিব পর্যায়ের কমিটির সদস্যরা এই উদ্বৃত্ত ধান ও গম মানবিক কারণে অন্য দেশে পাঠানোর কথা তুলে ধরেছিল। ক্রেতা সুরক্ষা ও গণ বণ্ঠন মন্ত্রকের তরফেও এই প্রস্তাব দেওয়া হয়। বেশ কয়েকবার এই আবেদনের ভিত্তিতে সদর্থক ফল মিলেছে বলে জানায় সূত্র। এফসিআই তাদের গুদাম থেকে সংরক্ষিত ধান ও গম খালি করতে আগ্রহী। কারণ এরপর নতুন ধান ও গমের বস্তা সংরক্ষণের জন্য আসবে। পুরোন ধান ও গমের বস্তা না খালি হলে নতুন ধান ও গম রাখা সম্ভব হবে না।
আরও পড়ুন: হরিয়ানা ভোট: ১৪ বছরের ক্ষুদে সাংবাদিকের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে
ভারতে ধান ও গমের দাম ঊর্ধ্বমুখী। তাহলে দেশের অভ্যন্তরে কেন বিক্রি করা হচ্ছে না এই উদ্বৃত্ত ধান শস্য। কারণ হিসাবে দু'টি বিষয়ের কথা তুলে ধরা হয়েছে। প্রথমত, এফসিআই নির্ধারিত দামের সঙ্গে দেশের খোলা বাজারে চাল ও ধানের দাম বেশ কিছুটা কম। অঙ্কের হিসাবে প্রতি কুইন্টাল ধান ও গম এফসিাই বিক্রি করে ২,৫০৫.৬৭ ও ৩৬০১.৯১ টাকায়। যার গড়পরতা বাজার দাম ২,১০০ ও ৩০০০ টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারে সেপ্টেম্বরে যার মূল্য ছিল ১৯০ ডলার ও ২০২ ডলার। দ্বিতীয়ত, ডাব্লুটিও চুক্তি অনুশারে কিছু বিধিনিষেধ আগে থেকেই আরোপ করা রয়েছে। যার ফলে এফসিআই দেশের মাটিতে উদ্বৃত্ত ধান ও গম বিক্রি করতে পারে না।
অতীতে বেশ কয়েকটি দেশকে এই সাহায্য করেছে ভারত। ২০১১-১২, ২০১৩-১৪ ও ২০১৭-১৮ সালে ৩,৫ টন গম আফগানিস্তানকে দেয় নয়াদিল্লি। এচাড়াও ইয়েমেন মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবোয়ে, লেসথো ও নাম্বিয়াকেও মানবিক কারণে সাহায্য করা হয়। আগে এই সাহায্য কম পরিমাণে করা হলেও বর্তমানে তা বেশি করে করার অনুরোধ জানিয়েছে এফসিআই।
Read the full story in English