Advertisment

মধ্যরাতে মত্ত যুবকদের হাতে সিরিয়াল অভিনেত্রী ও হবু স্বামীর নিগ্রহের অভিযোগ

অভিনেত্রীর হবু স্বামীকে শনিবার গভীর রাতে মেরে ফাটিয়ে দিয়েছে মত্ত যুবকেরা। সে সময় অভিনেত্রী বাধা দিতে গেলে তাঁকেও আঘাত করা হয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
mukundapur

কলকাতায় ফের মত্ত যুবকদের হাতে নিগ্রহের অভিযোগ। ছবিটি প্রতীকী।

কলকাতার মুকুন্দপুরে মত্ত যুবকদের হাতে বাংলা সিরিয়ালের এক অভিনেত্রী ও তাঁর হবু স্বামীরকে নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে। জানা যাচ্ছে, অভিনেত্রীর হবু স্বামীকে শনিবার গভীর রাতে মেরে ফাটিয়ে দিয়েছে মত্ত যুবকেরা। সে সময় অভিনেত্রী বাধা দিতে গেলে তাঁকেও আঘাত করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পূর্ব যাদবপুর থানার পুলিশ। কিন্তু হঠাৎ কেন এমন আক্রমণ?

Advertisment

অভিনেত্রীর দাবি, পুজো উপলক্ষে একটি সামাজিক আনুষ্ঠানে যোগ দিতে মুকুন্দপুরে মুকুন্দভবনের সামনে এক পরিচিতের বাড়ির সামনে পৌঁছন তিনি এবং তাঁর হবু স্বামী। সে সময় তাঁদের গাড়িটি দাঁড়িয়ে থাকলেও গাড়ির হেড লাইট জ্বলছিল। আর ওই গাড়ির অদূরেই মদ্যপান করছিল বেশ কয়েকজন যুবক। ওই যুবকেরা গাড়ির হেড লাইট বন্ধ করতে বলে। কিন্তু, গাড়িতে মহিলারা রয়েছেন এবং তাঁদের নিরাপত্তার কারণে হেড লাইট বন্ধ করা যাবে না বলে জানানো হয়। এরপরই মত্ত যুবকরা গালি গালাচ করতে শুরু করেন। যুবকদের এমন অভব্য আচরণের প্রতিবাদ করেন অভিনেত্রীর হবু স্বামী। আর ঠিক তখনই তাঁকে মারধর করতে শুরু করে যুবকেরা। অভিযোগ, ওই ব্যক্তিকে মেরে কার্যত ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমতাবস্থায় অভিনেত্রী বাধা দিতে এলে তাঁকেও মারধর করা হয়।

আরও পড়ুন- কেন নিজের মাথায় গুলি করলেন পরিবহণ মন্ত্রীর দেহরক্ষী? কী বলছেন বাড়ির লোক

অভিনেত্রী ও তাঁর হবু স্বামী এরপরই পূর্ব যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ইতিমধ্যে ওই অভিযুক্ত যুবকদের খোঁজে নেমেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্তে মুকুন্দভবন সংলগ্ন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হবে বলে জানা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন- #MeToo: মুখ খুললেন মন্দাক্রান্তা সেন

উল্লেখ্য, মহালয়ার রাতের পার্ক স্ট্রিট এলাকায় পুলিশি অভব্যতার শিকার হন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র। অভিষেক কর নামের ওই ছাত্র টাই গ্রাউন্ডে নির্জন পথ ধরে হাঁটছিলেন বলে পুলিশকর্মীর মুখ থেকে থেকে ধেয়ে এসেছিল কু-মন্তব্য। এখানেই শেষ নয় পুলিশকর্মীর হাতে মার খেতে হয়েছিল অভিষেককে। এরপর অবশ্য ময়দান থানার ওসি-র সামনে অভিষেকের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন ওই পুলিশকর্মী।

Violence
Advertisment