/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/10/vaccine1.jpg)
প্রতীকী ছবি
করোনা দেশে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তবে একেবারে দাপট কমেনি। দিল্লিতে ক্রমশ জাঁকিয়ে বসেছে কোভিড-১৯। এই প্রেক্ষাপটে পুনে ভিত্তিক সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (এসআইআই) আশার কথা শোনাল। বৃহস্পতিবার একটি সাংবাদিক বৈঠক থেকে সংস্থার তরফে জানান হয় কোভিড যোদ্ধা এবং বয়স্ক ব্যক্তিরদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে 'কোভিশিল্ড' সীমিতভাবে ব্যবহারের জন্য কেন্দ্রের কাছে জরুরি অনুমোদনের আর্জি জানান হবে। ডিসেম্বরের মধ্যে এই ভ্যাকসিন যাতে ভারতের বাজারে আনা যায় তার জন্য ডিজিসিএ-এর কাছেও আবেদন করা হবে বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছেন সেরাম সংস্থা প্রধান।
অক্সফোর্ড এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকা বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা নির্মিত কোভিড -১৯ ভ্যাকসিনের ভারতীয় নাম কোভিশিল্ড। বৃহস্পতিবার দ্য ল্যানসেট জার্নালে এই ভ্যাকসিনের কার্যকারীতা এবং ফলাফলের কথা প্রকাশিত হয়েছে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা-র সঙ্গে যুক্তি করে যৌথভাবে ভারতে এই ভ্যাকসিন উৎপাদন করছে সেরাম ইনস্টিটিউট।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস বায়ুবাহিত, ঘর স্যানিটাইজ করে লাভ নেই, মত বিশেষজ্ঞদের
কত দাম হবে এই ভ্যাকসিনের?
সম্ভবত ২০২১ সালের মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে কোভিশিল্ড দেশের বাকি জনসাধারণের জন্য উপলব্ধ হতে পারে, এসআইআইয়ের সিইও আদর পুনাওয়াল্লা এইচটি লিডারশিপ সম্মেলনে জানান এ কথা। আপাতত ডিসেম্বরের মধ্যে সীমিত সংখ্যক ভ্যাকসিন আনতে চান তাঁরা। সংস্থা প্রধান বলেন, এই টিকাটি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা যেতে পারে। সাধারণ মানুষের জন্য বেসরকারিভাবে বাজারে এর মূল্য ৫০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে হতে পারে।
তবে সরকারি ক্ষেত্রে দাম আরও কম হবে বলেই জানান হয় সংস্থার তরফে। আদর পুনাওয়াল্লা জানান, ভ্যাকসিনটি ৩ থেকে ৪ ডলার অর্থাৎ ২২৫ থেকে ৩০০ টাকায় পাওয়া যাবে সরকারিভাবে। খুব কম দামে এই ভ্যাকসিন পাওয়ার কারণ, সরকারের জন্য কয়েক লক্ষ ডোজ একসঙ্গে প্রস্তুত করা হবে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন