বাক যুদ্ধের ইতি। এক যোগে দেশে করোনা টিকা বিতরণের কথা বিবৃতি দিয়ে জানালো দুই টিকা নির্মাতা সংস্থা ভারত বায়োটেক ও সেরাম ইনস্টিটিউট।
যৌথ বিবৃতিতে সেরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালা ও ভারত বায়োটেকের এমডি কৃষ্ণ এল্লা জানিয়েছেন, 'উভয় সংস্থাই পরস্পরের কাজের প্রতি দুর্দান্তভাবে শ্রদ্ধাশীল এবং গত সপ্তাহের ভুল বোঝাবুঝি এখন অতীত। টিকার গুরুত্ব সম্পর্কে আমরা সচেতন। দেশ ও বিশ্ববাসীর জীবন রক্ষাই এখন সব থেকে বড় কাজ। টিকা এর জীবনদায়ী প্রতিষেধক যা অতিমারীর বিরুদ্ধে লড়াই করে গোটা বিশ্বকে রক্ষা করবে। এতেই স্বাস্থ্য সংকট কাটবে ও অর্থনীতি ফের চাঙ্গা হবে। আমরা আমাদের তৈরি টিকা যৌথভাবে বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ।'
This should clarify any miscommunication. We are all united in the fight against this pandemic. https://t.co/oeII0YOXEH
— Adar Poonawalla (@adarpoonawalla) January 5, 2021
গত শুক্রবারই জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি করোনা টিকা কোভিশিল্ড-কে অনুমোদন দেয় ডিজিসিআই। তারপর রবিবার ভারত বায়োটেক নির্মিত টিকা কোভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এরপরই দেশিয় দুই সংস্থার মধ্যে বাক যুদ্ধ চরমে ওঠে।
সেরাম কর্তা আদর পুনয়াওলার দাবি ছিল, সারা বিশ্বে মাত্র তিনটি করোনাভাইরাস টিকার (অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়-অ্যাস্ট্রোজেনেকা, ফাইজার এবং মর্ডানার টিকা) কার্যকারিতার প্রমাণ মিলেছে। বাকি কোনও টিকার কার্যকারিতা সংক্রান্ত কোনও প্রমাণ নেই। যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারত, রাশিয়া, ইউরোপ-সহ বাকি সমস্ত টিকা ‘জলের মতো নিরাপদ’। একই সঙ্গে অক্সফোর্ডের টিকার ফলাফল নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ভারত বায়োটেকের কর্তা। তবে কারও নাম না করলেও সেরাম কর্তার মূল নিশানায় যে ‘প্রতিপক্ষ’ ভারত বায়োটেক ছিল, তা একেবারেই স্পষ্ট ছিল।
সেরামের সেই কটাক্ষের পালটা জবাব দিয়েছে ভারত বায়োটেকও। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে এল্লা বলেন, ‘ভারতীয় বিজ্ঞানীদের নিশানা করা সহজ কাজ। এটা আমায় বলতে হচ্ছে, কারণ অন্য একটি সংস্থা (পড়ুন সেরাম) আমার টিকাকে জলের মতো নিরাপদ বলেছে। গতকাল সংবাদমাধ্যমে একটি স্থানীয় সংস্থা জানিয়েছে যে অন্যান্য সংস্থার সুরক্ষা হল জলের মতো নিরাপদ। শুধুমাত্র তিনটি সংস্থা (টিকার) কার্যকারিতার পরীক্ষা করা হয়েছে এবং অন্যান্য টিকা হল জলের মতো। আমি সেটা খারিজ করছি। বিজ্ঞানী হিসেবে এরকম মন্তব্য কষ্টজনক। আমরা ২৪ ঘণ্টা কাজ করি এবং মানুষের তরফে থেকে এরকম সমালোচনার যোগ্য নই।'
দ্বন্দ্বের এই আবহে টিকাকরণের ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়। তার মধ্যেই হঠাই মঙ্গলবার সেরামের সিইও জানান সেরাম ও ভারত বায়োটেকের মধ্যে কোনও ঝামেলা নেই। উভয় সংস্থা যৌথবাবে মানুষের কাছে টিকা পৌঁছে দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন