Serum Institute: রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি তৈরির বরাত পেল সিরাম ইনস্টিটিউট। সিরামের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে মঙ্গলবার এই খবর জানিয়েছে স্পুটনিক-ভি টিকার বিপণন সংস্থা রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড বা আর়ডিআইএফ।
আর়ডিআইএফ জানিয়েছে, ‘প্রতি বছর ভারতে ৩০ কোটি স্পুটনিক-ভি তৈরির লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে।ভারতে স্পুটনিক-ভি টিকা তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করতে যে প্রয়োজনীয় কোষ এবং ভেক্টরের নমুনা প্রয়োজন, তা ইতিমধ্যেই সিরামকে পাঠিয়েছে রাশিয়ার গামালেয়া ইনস্টটিউট।’ জানা গিয়েছে, এই লক্ষ্যপূরণে সিরামকে প্রযুক্তিগত সাহায্য দিতে শুরু করেছে আর়ডিআইএফ।
এই চুক্তির পর আমদানি নয়, টিকাকরণে ভারতেই মিলবে স্পুটনিক-ভি। এই টিকার প্রযুক্তি আমদানিতে আগেই সিরামকে অনুমতি দিয়েছিল ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া । সিরামের পুণের প্লান্টে পরীক্ষামূলক ভাবে স্পুটনিক-ভি উৎপাদনে গত ৪ জুলাই লাইসেন্স দিয়েছিল সংস্থাটি। এদিকে, তখন করোনায় কাবু চিন। করোনার নাম শুনলেই বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক গ্রাস করছে। করোনা যে মারণ ভাইরাসে ততদিনে ক্রমশ তা স্পষ্ট হচ্ছে। এই আতঙ্কের মধ্যেই ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি ভারতে কেরালায় প্রথম কোভিড-১৯ আক্রান্তের হদিশ মিলেছিল। করোনার সংক্রমিত হন চিনের হুয়ান ফেরত এক ডাক্তারির ছাত্রী। তাঁকে ঘিরে তখন আতঙ্কের প্রহর গোনার শুরু। ওই ছাত্রীর থেকে করোনা ছড়িয়ে পড়বে গোটা দেশে- এই প্রমাদ গোনা তুঙ্গে ওঠে।
কেরালার কোদুংগাল্লুরের ওই বাসিন্দা ডাক্তারির ছাত্রী অবশ্য ত্রিসূর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা চলেছিল। পরে সুস্থ হয়ে যায় সে। কিন্তু, ফের করোনার কবলে ওই ছাত্রী। সম্প্রতি ২০ বছর বয়সী ওই ডাক্তারির ছাত্রী দিল্লি যাচ্ছিলেন। সেই সময় রুটিন কোভিড পরীক্ষা হয় তাঁর। সেখানেই রিপোর্ট পজেটিভ ধরা পড়েছে। সরকারি কর্মী মারফত জানা গিয়েছে, পজিটিভ হলেও এবার তাঁর শরীরে কোনও উপসর্গ নেই। আপাতত বাড়িতেই রয়েছেন ওই ছাত্রী।
করোনা সংক্রমণ রুখতে টিকাকরণে জোর দিয়েছে কেন্দ্র। দেশজুড়ে চলছে বিনামূল্যে টিকাদান। দেশবাসীকে দ্রুত টিকা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু, জানা গিয়েছে ভারতে প্রথম করোনা আক্রান্ত ওই মেডিক্যালের ছাত্রী এখনও টিকা নেননি। এর কারণ অবশ্য এখন অজানা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন