/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/02/Seven-Army-personnel-dead-body-found.jpg)
ফাইল ছবি।
অরুণাচলে ধসে চাপা পড়ে সেনাবাহিনীর সাত জওয়ানদের মৃত্যু হল। রবিবার ওই জওয়ানরা ধসে চাপা পড়েছিলেন। মঙ্গলবার সেনাবাহিনীর তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে। স্থানীয় সেনাছাউনিতে দেহগুলো নিয়ে আসা হয়েছে বলেই সেনাকর্তারা জানিয়েছেন।
সেনা আধিকারিকরা জানান, ওই জওয়ানরা টহলদারি চালাচ্ছিলেন। সেই সময় ৬ ফেব্রুয়ারি অরুণাচল প্রদেশের কামেং সেক্টরে বেশ উঁচু পাহাড়ি এলাকায় ধস নামে। তারপর থেকে ওই জওয়ানদের খোঁজ মিলছিল না। তাঁদের খোঁজে এরপর তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। বিশেষ বাহিনী বিমানের সাহায্যে উদ্ধারকাজে নামে।
মঙ্গলবার সেনাকর্তারা জানান, তল্লাশি অভিযান শেষ হয়েছে। সাত জওয়ানের দেহই উদ্ধার হয়েছে। যে এলাকায় ধস নেমেছিল, সেখান থেকেই উদ্ধার হয়েছে দেহগুলো। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট সকলের যাবতীয় চেষ্টার পরও নিখোঁজ কোনও জওয়ানকেই বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
যেখানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, তার উচ্চতা সাড়ে ১৪ হাজার ফুট। গত কয়েকদিন ধরে অরুণাচল প্রদেশের ওই এলাকায় তুষারপাত চলছিল। দেহগুলো শনাক্তর পর ময়নাতদন্তের জন্য তা কাছাকাছি সেনা ছাউনিতে নিয়ে আসা হয়েছে।
সেনার ঘোষণার পরই মৃত জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপণ করেছেন পশ্তচমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন...
Deeply saddened to know about the unfortunate demise of our 7 brave jawans in the line of duty in the snowstorm in Arunachal Pradesh.
Our jawans are selflessly striving for our safety & security. My salute to the jawans.
My deep condolences to their family & colleagues.— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) February 8, 2022
টহলদারির সময় জওয়ানরা তুষারপাতের মুখে পড়ছেন, এমন ঘটনা নতুন কিছু না। অতীতে এই ধরনের ঘটনায় বহু জওয়ানের মৃত্যুও হয়েছে। শেষবার এই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল ২০২০ সালের মে মাসে। সেই সময় দুই সেনা আধিকারিকের তুষারঝড়ে মৃত্যু হয়েছিল। তাঁরা রাস্তা থেকে তুষার সরানোর কাজে যুক্ত ছিলেন। ওই বছর ঘটনাটি ঘটেছিল সিকিমে।
আরও পড়ুন- মুকেশ আম্বানিকে টেক্কা! নতুন রেকর্ড গড়ে এশিয়ার সবচেয়ে ধনী আরেক ভারতীয়
আবার, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে সংসদে পেশ করা নথিতে সরকার জানিয়েছে, ২০১৯ সালের ছয় সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সিয়াচেনে। ওই বছরই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আরও ১১ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল তুষারঝড়ে।
সরকার জানিয়েছে, সশস্ত্র বাহিনীর সমস্ত জওয়ানকে তুষারঝড় থেকে বাঁচার শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। এমনকী, জরুরি ডাক্তারি পরিষেবার শিক্ষাও দেওয়া হয়েছে। তুষারপাতের মোকাবিলার মতো পোশাক থেকে যাবতীয় সরঞ্জামও জওয়ানদের কাছে আছে। এছাড়াও রয়েছে হেলিকপ্টার, মানবহীন নজরদারির যন্ত্র, স্নো স্ক্রুটার, তুষারধসের পূর্বাভাস পাওয়ার মতো যন্ত্রপাতিও। যদিও সরকারের এই দাবির পরও তুষারধসে জওয়ানদের মৃত্যুর ঘটনা এখনও পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব হয়নি।
Read in English