২২ শে জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন। ইতিমধ্যেই সাড়া হয়ে গিয়েছে সকল প্রস্তুতি। বাছাই করা হয়েছে রাম লালার মূর্তি। অযোধ্যায় প্রাণ প্রতিষ্টার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সাজানো হয়েছে বিশাল মন্দির। প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগে এযেন এক 'রঙিন অযোধ্যা'।
আজ ১৬ই জানুয়ারি থেকে থেকে শুরু হয়েছে সাত দিনের রাম লালার বিশেষ পুজোর অনুষ্ঠানও। সাত দিন ধরে চলা আচার অনুষ্ঠানের পর, ২২ শে জানুয়ারি শুভ সময়ে ভগবান রাম তাঁর বিশাল প্রাসাদে উপবিষ্ট হবেন।
আগামী সাত দিনের কর্মসূচি
১৬ জানুয়ারি: প্রায়শ্চিত্ত এবং কর্মকুটি পুজো।
১৭ জানুয়ারি: মূর্তি পরিসর প্রবেশ পুজো।
১৮ জানুয়ারি বিকেল: তীর্থপুজো, জলযাত্রা এবং গন্ধাধিবাস।
১৯ জানুয়ারি সকাল: ঔষধাধিবাস, কেসরাধিবাস এবং ঘৃতাধিবাস।
১৯ জানুয়ারি বিকেল: ধন্যধিবাস।
২০ জানুয়ারি সকাল: শর্করাধিবাস, ফলাধিবাস।
২০ জানুয়ারি বিকেল: পুষ্পাধিবাস।
২১ জানুয়ারি সকাল: মধ্যধিবাস।
২১ জানুয়ারি বিকেল: সহ্যধিবাস।
শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই জানিয়েছেন, মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ২২ জানুয়ারি, ভগবান রাম তাঁর বিশাল প্রাসাদে উপবিষ্ট হবেন। ১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে প্রাণপ্রতিষ্ঠা পূজার প্রথা। কাশী সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে ১২১ জন বৈদিক পণ্ডিত প্রাণ প্রতিষ্টা অনুষ্ঠান করবেন। ইতিমধ্যেই সবাই অযোধ্যায় পৌঁছে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন : < Karnataka Sculptor Arun Yogiraj: অরুণ যোগীরাজের তৈরি মূর্তিই স্থান পাচ্ছে রাম মন্দিরে, বিরাট ঘোষণা ট্রাস্টের >
২২ জানুয়ারি গর্ভগৃহে মাত্র পাঁচজন উপস্থিত থাকবেন। উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সূত্রের খবর, ওই দিন সব প্রোটোকলকে পিছনে ফেলে ৫০০ মিটার রাস্তা হাঁটবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নিজেই সঙ্গে করে নিয়ে যাবেন রাম লালার মূর্তি। অস্থায়ী মন্দির থেকে রাম লালার মূর্তিটি নিজে হাতে করে পৌঁছে দেবেন নতুন মন্দিরে। তারপর সেখানে মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হবে। তাঁর আরতি করবেন। সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টার মধ্যে হবে বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠা।