নির্ভয়াকাণ্ডে সাজাপ্রাপ্তদের সাত দিনের মধ্যে প্রাণভিক্ষা করতে হবে

আইনি পথে আসামিরা আর আদালতে প্রাণভিক্ষার আবেদন জানাতে পারবে না। সংবিধান অনুশারে একমাত্র রাষ্ট্রপতির কাছে এবার তাদের ওই আবেদন করতে হবে।

আইনি পথে আসামিরা আর আদালতে প্রাণভিক্ষার আবেদন জানাতে পারবে না। সংবিধান অনুশারে একমাত্র রাষ্ট্রপতির কাছে এবার তাদের ওই আবেদন করতে হবে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

নির্ভয়া গণধর্ষণকাণ্ডে চার সাজাপ্রাপ্ত আসামি।

হাতে আর মাত্র সাত দিন। তার মধ্যেই রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করতে হবে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে নির্ভয়া গণধর্ষণকাণ্ডে চার সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে। নোটিস জারি করে নিয়ে দিলেন তিহার জেল কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি জানানো হয়েছে গণধর্ষণকাণ্ডের চার সাজাপ্রাপ্ত আসামিকেও। বলা হয়েছে, আইনি পথে আসামিরা আর আদালতে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন জানাতে পারবে না। সংবিধান অনুশারে একমাত্র রাষ্ট্রপতির কাছে তাদের ওই আবেদন করতে হবে। সাত দিনের মধ্যে আসামিরা প্রাণ ভিক্ষার আবেদন না করলে জেল কর্তৃপক্ষ আইন অনুশারে পদক্ষেপ করবে।

Advertisment

২০১২ সালের ডিসেম্বরে নির্ভয়া গণধর্ষণকাণ্ডে ফাঁসির সাজা হয় মুকেশ (৩১), পবন গুপ্তা (২৪), বিনয় শর্মা (২৫) ও আকাশ কুমারের (৩৩)। বর্তমানে এরা তিহার জেলে বন্দি।

আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপের টার্গেট লিস্টের বেশিরভাগই ভারতের মানবাধিকার আইনজীবী, সাংবাদিক ও অধ্যাপক

তিহার জেল কর্তৃপক্ষের এই নোটিস জারির পর সাজাপ্রাপ্ত আসামি মুকিশের আইনজীবী এম এল শর্মা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, 'তিনি জেল কর্তৃপক্ষের এই নোটিস সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করবেন। বিগত তিন বছরে আমি আদালতে কিউরেটিভ পিটিশন দাখিল করতে পারিনি।' বাকি তিন আসামির আইনজীবী এ পি সিং বলেন, 'নোটিশের জবাব দেওয়া হবে ও আদালতেও কিউরেটিভ পিটিশন দাখিল করা হবে।'

Advertisment

আরও পড়ুন: ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির সিদ্ধান্ত সর্দার প্যাটেলকে উৎসর্গ করলেন মোদী

২০১৭ সালে ফাঁসির সাজা হয় নির্ভয়া গণধর্ষণকাণ্ডে চার অভিযুক্তের। ২০১৮ সালের জুলাইতে সুপ্রিম কোর্ট তাদের ২০১৭ সালের রায়ের পূনর্মূল্যায়ণের আবেদন খারিজ করে দেয়। তবে, আকাশ এই আবেদন করেনি।

২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে দিল্লির মুনিরকা এলাকায় চলন্ত বাসের ভিতরে ২৩ বছর বয়সি প্যারামেডিক্যাল ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে ছয় দুষ্কৃতী। মৃত্যু হয় ওই ছাত্রী। দেশজুড়ে আলোড়ন পড়ে যায়। বিচারে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে অভিযুক্তদের মধ্যে পাঁচ জনের ফাঁসির আদেশ দেয় আদালত। এক দুষ্কৃতী নাবালক হওয়ার কারণে দু’মাস জুভেনাইল হোমে বন্দি থাকার পরে মুক্তি পায়। বাকি পাঁচ জনের মধ্যে অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত রাম সিং জেলের ভিতরে আত্মহত্যা করে।

Read the full story in English

national news