শনিবার ভারতীয় কোম্পানী কেইসি ইন্ট্যারন্যাশনালে কর্মরত সাতজন কর্মরত ভারতীয় শ্রমিক আচমকা নিঁখোজ হয়ে যায়। অভিযোগ কিছু সশস্ত্র আফগানিস্থানের বাঘলান অঞ্চল থেকে তাঁদের অপহরন করেছে।
এখনও অব্দি কোন সংগঠন এর দায় না নিলেও আফগানিস্থানের স্থানীয় সংবাদ সংস্থা টোলো নিউজ এই ঘটনা প্রসঙ্গে আঙুল তুলেছে একটি তালিবানী সংগঠনের দিকে। তাঁদের দাবী বাঘলানের গভর্নর আব্দুল্লাই নেমাতি এই প্রসঙ্গে একটি বিবৃতিতে বলেন আফগান সরকার স্থানীয়দের মাধ্যমে একটি তালিবানী গ্রুপের সঙ্গে কথাও বলেছে। তাঁর দাবী সরকারী কর্মী ভেবে ভুল করে অপহরন করেছে ঐ তালিবানী সংগঠনটি।
এই খবরটিতে শিলমোহর দিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের প্রবক্তা রভিশ কুমার বলেন, "আফগানিস্থানের বাঘলান অঞ্চল থেকে সাত নাগরিকের অপহরনের খবরটি আমাদের কানে এসেছে। এপ্রসঙ্গে আমরা আফগান সরকারের সঙ্গে এপ্রসঙ্গে আলোচনা ও শুরু করেছি।"
সূত্রের খবর, আফগানিস্থানের বিদেশ মন্ত্রী সালাহবুদ্দিন রাব্বানি এবিষয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে অপহৃত ভারতীয়দের উদ্ধারে আফগান সরকারের ভূমিকা সর্ম্পকে আলোচনা করেছেন।
আরপিজি এন্টারপ্রাইসের সভাপতি হর্ষ গোয়েঙ্কা একটি ট্যুইটের মাধ্যমে এই অপহৃতদের উদ্ধার প্রসঙ্গে বিদেশ মন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে অনুরোধ করেন। প্রসঙ্গত, কেইসি আরপিজি এন্টারপ্রাইসের একটি সহযোগী সংস্থা।
আরও পড়ুন: #ফ্রিহাগস্; তালিবানি আক্রমনে অনবদ্য প্রতিবাদ জানালেন কলকাতাবাসী
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী কেইসিতে কর্মরত এই সাত ভারতীয়কে পুল-ই-খোমরি অঞ্চলের বাঘ-এ-শমল গ্রাম থেকে কিছু সশস্ত্র তালিবানী অপহরন করে। অপহৃতরা ঐ অঞ্চলে কেইসির একটি ইলেকট্রিক সাব-স্টেশন বসানোর উদ্দেশ্যে গিয়েছিলেন। নেমাতির টোলো নিউজকে দেওয়া বিবৃতি অনুযায়ী ঐ তালিবান সংগঠনটি অপহৃতদের পুল-ই-খোমরি অঞ্চলের দণ্ড-এ-শাহাবুদ্দিন অঞ্চলে নিয়ে গিয়েছে। তিনি আরও বলেন অপহৃতদের উদ্ধার করবার জন্য তাঁরা কিছু স্থানীয় আদিবাসীর মাধ্যমে আলোচনাও শুরু করেছেন।
গত চার বছরে এই নিয়ে তৃতীয়বার আফগানিস্থানে ভারতীয় কর্মীরা অপহৃত হলেন। ২০১৬ সালের জুলাই মাসে ভারতীয় কর্মী জুডিথ ডি-সুজাকে অপহরনের প্রায় একমাস পর উদ্ধার করা হয়।
২০১৪ সালের জুন মাসে অপহৃত হন ফাদার আলেক্সিস প্রেম কুমার নামক একজন ভারতীয় রোম্যান ক্যাথলিক যাজকও। তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয় ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে।
২০০৩ থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে তিনজন ভারতীয় কর্মীকে ছেড়ে দেওয়া হলেও দুজন অপহৃতদের খুনও করেন তালিবানীরা।
আরও পড়ুন: গুরুগ্রামে প্রকাশ্যে নমাজ পাঠে আপত্তি! কেন?