কোভিড দাপটে ভারতে সংক্রমণের পাশাপাশি ক্রমশ বেড়ে চলেছে মৃত্যুও। আর সেই তীব্রতার সম্ভাব্য কারণ হিসেবে করোনার ভয়ঙ্কর স্ট্রেন এবং হাসপাতালের বেডের ঘাটতিকেই দায়ী করেছেন এইমসের প্রধান ডা: রণদীপ গুলেরিয়া।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে এইমস প্রধান বলেন, "আমরা বিভিন্ন কৌশল নিয়ে কাজ করছি। কোনও রোগী স্থিতিশীল হয় এবং অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তা না থাকে, তবে তাকেসঙ্গে সঙ্গে অক্সিজেনবিহীন বেডে স্থানান্তরিত করে অন্য রোগী সেই বেডে আনা হচ্ছে। যদিও সব রোগীকেই সর্বদা পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। কোভিডের দ্বিতীয় দাপটেই এর প্রয়োজন হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে এমন অক্সিজেন সমস্যাও দেখা যায়নি রোগীদের দেহে। বর্তমানে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে রকেটের গতিতে। আর সেই কারণেই ভেঙে পড়ছে আমাদের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। সংক্রমণের হার এমন তীব্রতর না হলে রুখতে পারা যেত মৃত্যু।
কিন্তু এই মৃত্যু বৃদ্ধির কী কী কারণ থাকতে পারে?
রণদীপ গুলেরিয়ার কথায়, "মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ার দু-তিনটি কারণ থাকতে পারে। ব্রিটেন থেকে আসা ভাইরাস স্ট্রেন এই মৃত্যুর সঙ্গে যুক্ত। এটি হতে পারে যে স্ট্রেনটি মারাত্মক রোগও সৃষ্টি করে এবং এটি মৃত্যুর হারকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। সংক্রমণ এত তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পেয়েছে তাই সঙ্কটে পড়েছে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাও। বেড নেই, অক্সিজেন অভাব। সব মিলিয়ে মৃত্যু বাড়ছে।
আরও পড়ুন, ‘স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে হলে কয়েক সপ্তাহ শাটডাউন দরকার’
তবে কি মে মাসের মাঝামাঝি আরও প্রকট হবে দাপট?
বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন যে মে মাসের মাঝামাঝি নাগাদ বাড়তে পারে সংক্রমণ। কিন্তু দেশ কীভাবে সংক্রমণ রোখার ব্যবস্থা নেয় তার উপর নির্ভর করবে ভবিষ্যৎ। অনেকেই মডেল ভিত্তিক পূর্বাভাস দিচ্ছেন। কিন্তু আমার মনে হয় আগামী কয়েক মাস সংক্রমণ কমতে পারে যদি নিয়ন্ত্রণের কয়েকটি কৌশল নেওয়া হয়। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রোখা গেলেই তা সম্ভব।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন