মি টু-র জেরে সিমবায়োসিস সেন্টার ফর মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশনের ডিরেক্টর অনুপম সিদ্ধার্থকে ছুটিতে পাঠাল সিমবায়োসিস ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। তাঁর বিরুদ্ধে মোট ১০৬ জন বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্রী যৌন হেনস্থার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে অভিযোগ এনেছেন।
সিমবায়োসিস ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মুখ্য় ডিরেক্টর বিদ্যা ইয়েরাভদেকর এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘‘ইতিমধ্যেই আভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করা হয়েছে, যারা অনুপম সিদ্ধার্থের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখছে। এর মধ্যে কিছু ক্ষেত্রে অন্য ফ্যাকাল্টি সদস্যদের বিরুদ্ধে করা হেনস্থার অভিযোগের কথাও রয়েছে, যেগুলি সম্পর্কে অবগত হওয়া সত্ত্বেও তিনি কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। এর মধ্যেই গত শুক্রবার সন্ধেবেলা আমরা ১০৬ জন ছাত্রীর সই করা একটি চিঠি পাই। সিদ্ধার্থ শৃঙ্খলাপরায়ণ হিসেবে পরিচিত হওয়ায় এর মধ্যে কিছু অভিযোগ খুবই সাংঘাতিক লেগেছে, এবং তা সঙ্গে সঙ্গেই আভ্যন্তরীণ কমিটিকে জানানো হয়েছে। শনিবারই ওই কমিটি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায়। কমিটির সুপারিশ মত তদন্তের সুবিধার্থে সোমবার থেকে তিনি ছুটিতে যাচ্ছেন।’’
আরও পড়ুন, সৌমিক সেনের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার অতুল কাসবেকরের
গত ১০ দিন যাবৎ সিমবায়োসিস #MeToo আন্দোলনের শরিক হয়েছে। সোশাল মিডিয়ায় উঠে এসেছে সহপাঠী, শিক্ষক এবং এমনকি ইন্টার্নশিপের সময়কার যৌন হেনস্থার কথা। ক্যাম্পাসে এই আবহাওয়া দূর করতে প্রায় শ দুয়েক প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
এর মধ্যেই আবার সিমবায়োসিস ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অ্যাকাডেমিক্স অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ডিন ভামা বেঙ্কটরামানির কাছে একটি চিঠি দিয়েছেন শখানেকেরও বেশি ছাত্রছাত্রী। তাঁদের বক্তব্য, পুণে সিমবায়োসিসদের এই হঠাৎ ফেটে পড়ার পিছনে রয়েছে কর্তৃপক্ষের অনুপম সিদ্ধার্থকে দেওয়া অবিসংবাদী ক্ষমতা, যিনি তার অপব্যবহার করেছেন।
আরও পড়ুন, #Me Too: মি টু আন্দোলন শুরু করেছে বিকৃতমনারা- বললেন মন্ত্রী
অনুপম সিদ্ধার্থের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ছাত্রীদের চুলের মুঠি ধরে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন, এমনকি তাদের পোশাক ও প্রসাধন সম্পর্কেও মন্তব্য করতে ছাড়েন না। ডিরেক্টর ছাত্রীদের র্যাগিংও করে থাকেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
ডিন জানিয়েছেন, আভ্যন্তরীণ কমিটির পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পাওয়ার পর ডিরেক্টর সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষিত হবে।