Marital Rape in India: স্ত্রীয়ের বয়স ১৫ বছরের উপর হলে বৈবাহিক ধর্ষণের বিহিত ভারতীয় আইনে নেই। সম্প্রতি এমন চাঞ্চল্যকর পর্যবেক্ষণ দিয়েছে ছত্তিশগড় হাইকোর্ট। এই পর্যবেক্ষণের জোরে বৈবাহিক ধর্ষণের অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস হয়েছে এক ব্যক্তি। হাইকোর্টে দায়ের করা অপরাধ পুনর্বিবেচনা মামলার শুনানিতে আদালত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থাকা আইপিসির ৩৭৬ ধারা (ধর্ষণের জন্য শাস্তি) খারিজ করেছে। আবেদনকারী অর্থাৎ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দায়ের এই ধারা অবৈধ। এমনটাই জানিয়েছেন বিচারপতি এনকে চন্দ্রবংশী। তবে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দায়ের ৩৭৭ (অপ্রকৃতস্থ আচরণ) এবং ৪৯৮-এ (স্ত্রীয়ের উপর নির্যাতন) এই দুটি ধারা বজায় রেখেছে হাইকোর্ট।
এই মামলায় আইপিসির ৩৭৫ ধারার একটি ব্যতিক্রমে ভরসা রেখেছেন বিচারপতি। সেই ব্যতিক্রমে উল্লেখ, ‘স্ত্রীয়ের সঙ্গে কোনও পুরুষের যৌন মিলন কিংবা যৌন আচরণ, যদি সেই স্ত্রীয়ের বয়স ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে হয়, তাহলে সেটা ধর্ষণ নয়।‘ পর্যবেক্ষণে বিচারপতি চন্দ্রবংশী বলেছেন, ‘অভিযোগকারিণী মহিলা, এই মামলায় আবেদনকারীর আইনত স্ত্রী। তাই আবেদনকারী বা স্বামীর তাঁর সঙ্গে যৌন আচরণ কিংবা যৌন মিলন ধর্ষণের মতো অপরাধযোগ্য নয়। সেই যৌন মিলন স্ত্রীয়ের অনিচ্ছায় হলেও সেটা বৈবাহিক ধর্ষণ নয়।‘
এই মামলায় অভিযোগকারীনি মহিলা আদালতে জানিয়েছে, বিয়ের পর থেকে তিনি পণের জন্য অত্যাচারিত। পাশাপাশি নানাভাবে দাম্পত্য নিগ্রহ এবং নির্যাতনের শিকার। স্বামী তাঁর সঙ্গে অপ্রকৃতস্থ শারীরিক সম্পর্ক রাখতেন। এমনকি প্রতিবাদ সত্বেও তাঁর গোপনাঙ্গে হাত দিতেন স্বামী।‘ এদিকে, সম্প্রতি কেরল হাইকোর্ট এক মামলায় জানিয়েছে, বৈবাহিক ধর্ষণ বিবাহ বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ হতে পারে। কিন্তু ভারতে এই ধর্ষণের জন্য কোনও শাস্তির বিধান নেই। শুধু আইনের খাতায় নৃশংসতা বলে উল্লেখ রয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন