Advertisment

সন্তান হারিয়েও শাহিনবাগের আন্দোলনে অটল নাজিয়া

'সিএএ প্রতিবাদ করে আমি ইতিমধ্যেই এক সন্তানকে হারিয়েছি। বাকি দুই সন্তানকে হারাতে হলেও কিছু মনে করব না।'

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

সন্তানহারা নাজিয়া।

মৃত্যু হল শাহিনবাগের সিএএ বিক্ষোভকারীর চার মাসের সন্তানের। অতিরিক্ত ঠান্ডার জেরেই এই মৃত্যু বলে দাবি মৃত শিশুর মা নাজিয়ার। তবে, ময়না তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ পেলেই শিশুটির মৃত্যুর আসল কারণ বোঝা যাবে।

Advertisment

কনকনে ঠান্ডা। তারই মধ্যে গত দু'মাসেরও বেশি সময় ধরে সিএএ বিরোধী অবস্থান বিক্ষোভ চলছে দিল্লির শাহিনবাগে। বিক্ষোভে শামিল স্কুল পড়ুয়া থেকে মধ্যবয়সী মহিলারা। বাদ যাননি বৃদ্ধারাও। জামিয়া নগরের বাসিন্দা বছর ২৪-য়ের নাজিয়াও তাদের মধ্যে অন্যতম। চার মাসের শিশুপুত্রকে কোলে নিয়েই নিয়ম করে নয়া আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন তিনি।

গত ২৯ জানুয়ারি চার মাসের সন্তান জাহানকে হারিয়েছেন নাজিয়া। তবু আন্দোলনে যোগদানের ক্ষেত্রে অনড় তিনি। পাঁচ বছরের মেয়ে ও এক বছরের ছেলের পাশে বসে নাজিয়া বলেন, 'সংশোধিত লাগরিকত্ব আইনের জন্যই আমার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। ভবিষ্যতের থা ভেবেই আমি ওকে অবস্থান বিক্ষোভে নিয়ে আসতাম। লড়াইয়ে আমার সদ্যজাত শামিল হয়ে ভাই-বোনেদের সঙ্গে খেলত। আন্দোলনকারীরা ওকে তেরঙা দিয়েছিল। জাহানকে সবাই ভালবাসত।'

আরও পড়ুন: ‘শাহিনবাগের নেপথ্যে রাজনৈতিক চক্রান্ত’, বিস্ফোরক মোদী

ছেলে হারা হয়েও আন্দোলন থেকে সরে আসতে নারাজ নাজিয়া। তাঁর কথায়, 'সিএএ প্রতিবাদ করে আমি ইতিমধ্যেই এক সন্তানকে হারিয়েছি। বাকি দুই সন্তানকে হারাতে হলেও কিছু মনে করব না। পরিবার হয়ত আমরা সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত নয়। কিন্তু, বৃহৎ স্বার্থে আমাকে এটা করতেই হবে।'

নাজিয়ার স্বামী আরিফ আগে এমব্রয়ডারির কাজ করলেও বর্তমানে ই-রিক্সা চালান। আরিফ ২৯ জানুয়ারির দুঃখের অভিজ্ঞতা শোনাতে গিয়ে বলেন, 'সেদিন রাত ১০টা নাগাদ শাহিনবাগ থেকে নাজিয়া বাড়ি ফিরেছিল। ও (স্ত্রী নাজিয়া) বলল ছেলের জ্বর রয়েছে। দুধ পান করিয়ে দেওয়ার পরেই জাহান ঘুমিয়ে পড়ে। প্রায় রাত আড়াইটে নাগাদ ছেলেটা কাঁদতে শুরু করে। আমরা ভাবি পরদিন সকালে ওকে হাসপাতালে নিয়ে যাব। কিন্তু, সকালেই দেখি ছেলেটা আর বেঁচে নেই। কোনও সাড়া শব্দ দিচ্ছে না। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওকে মৃত বলে ঘোষণা করে।'

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

delhi caa
Advertisment