Advertisment

শাহিনবাগের আন্দোলন সরালো পুলিশ

১০১ দিন পর ফাঁকা করে দেওয়া হল সিএএ বিরোধী আন্দোলনের ভরকেন্দ্র শাহিনবাগ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

জোর করেই ফাঁকা করে দেওয়া হল শাহিনবাগ।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের আতঙ্ক। দিল্লিজুড়ে লকডাউন। জমায়েতে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। মঙ্গলবার তাই জোর করেই ফাঁকা করে দেওয়া হল শাহিনবাগ। এখানেই সিএএ বিরোধীতায় একশো দিনের বেশি সময় ধরে অবস্থানবিক্ষোভে বসেছিলেন মহিলা আন্দোলনকারীরা। আবেদন-নিবেদনে কাজ না হওয়াতেই একপ্রকার জোর খাটিয়েই আন্দোলনকারীকের সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ।

Advertisment

দিল্লি পুলিশের ডিসিপি আর পি মিনা বলেছেন, 'পুলিশের পক্ষ থেকে লকডাউনের কথা স্মরণ করিয়ে আন্দোলনকারীদের সরে যেতে বলা হয়েছিল। কিন্তু, তাঁরা নিয়ম মানতে চাননি। পুলিশের কাজে বাঁধা দেওয়ার যাঁরা চেষ্টা করেছেন তাঁদের আটক করা হয়েছে। বাকিদের সরানো হয়েছে।' দিল্লি পুলিশের য়ুগ্ম কমিশনার জানিয়েছেন, ছ'জন মহিসাকে আটক করা হয়েছে। ১০১ দিনের মাথায় আন্দোলনকারীদের শাহিনবাগ থেকে সরানো হল।

আরও বলুন: Live: ভারতে করোনায় মৃত্যু বেড়ে ১০

পুলিশের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগের অভিযোগ করেছেন শাহিনবাগের এক আন্দোলনকারীরা। প্রথনম দিন থেকে আবস্থানে শামিল হওয়া এক মহিলা বলেন, '৮-১০ জন মহিলা বসেছিলেন। কিন্তু, সকাল সাতটা নাগাদ প্রচুর পুলিশ এসে জোর করে, টেনে-হিঁচড়ে আমাদের সরিয়ে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, পুলিশ, আমাদের পোস্টার,ব্যানারও ছিঁড়ে দিয়েছে।' জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল সাতটায় শাহিনবাগে পৌঁছায় পুলিশ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন পুলিশ আন্দোলনকারী মহিলাদের জোর করে তুলে দেয়। একইসঙ্গে উত্তর-পূর্ব দিল্লির জাফরাবাদের ধর্না তুলে দেওয়া হয়েছে।

publive-image শাহিনবাগের আন্দোলনকারীরা।

ভারতজুড়ে করোনার প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। গোষ্ঠী সংক্রমণেরও আশঙ্কা রয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে তাই গত সপ্তাহেই দিল্লি পুলিশ শাহিনবাগের আন্দোলনকারীদের কাছে ধর্না তুলে নেওয়ার আবেদন করেন। জবাবে আন্দোলনকারীরা বলেছিলেন, কোভিড ১৯ সংক্রমণ যাতে না হয় তা মাথায় রেখে যথেষ্ট সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। আন্দোলন কোনও অবস্থাতেই উঠবে না। জনতা কার্ফির দিন থেকে অবস্থানে শামিল হচ্ছিলেন গুটি কয়েক মহিলা। কিন্তু, সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবেই পুলিশ শাহিনবাগের আন্দলনকারীদের একেবারে সরিয়ে দিল।

Read the full story in English

caa coronavirus
Advertisment