সুপ্রিম কোর্টে শাহিনবাগের অবস্থান আন্দোলন বাতিল সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি হবে আগামী সোমবার। বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ ও বিচারপতি কে এম জোসেফের ডিভিশন বেঞ্চ শুক্রবার এই নির্দেশ দেয়। দিল্লি ভোটের আগে রায় দেওয়ার জন্য এদিন জোর সওয়াল করেন আবেদনকারী অমিত সাহিনী ও বিজেপি নেতা নন্দ কিশোর গর্গের আইনজীবী। সর্বোচ্চ আদালতের তরফে জানানো হয়, 'ভোটের আগে কেন এই সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি হবে? যা হওয়ার সোমবারই হবে।'
শাহিনবাগে সিএএ বিরোধী আন্দোলন চলছে। এতেই সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে দিল্লি-নয়ডাগামীদের। আটকে যাচ্ছে যানবাহন। তাই বিক্ষোভকারীদের উঠিয়ে কালিন্দী কুঞ্জ ও শাহিনবাগের রাস্তা খালি করে দেওয়ার জন্য আগেই দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন আইনজীবী অমিত সাহিনী ও বিজেপি নেতা নন্দ কিশোর গর্গ। তবে ১৪ জানুযারি সেই আবেদন খারিজ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানানো হয় সুপ্রিম কোর্টে।
এদিন সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়, 'সমস্যা হচ্ছে সেটা বোঝা গিয়েছে। সোমবার আবেদনের শুনানি হবে। পুরো বিষয়টি বোঝার ক্ষেত্রে সেই সময় আমরা ভাল অবস্থায় থাকব।'
আরও পড়ুন: শাহিনবাগ আত্মঘাতী হামলাকারীদের আঁতুরঘর: গিরিরাজ সিং
বিজেপি নেতা নন্দ কিশোর গর্গের আবেদনে বলা হয়েছে, 'এটা খুবই হতাশার যে আন্দোলকারীদের সরাতে প্রশাসন পুরোপুরি নিষ্ক্রিয়। শাহিনবাগের অবস্থান আন্দোল থেকে গণতন্ত্রের কার্যকরীতা ও আইনের শাসনকে বারংবার হুঁশিয়ারির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আন্দোলনকারীরা ইতিমধ্যেই নিজেদের হাতে শাসনভার তুলে নিয়েছে।'
'বৃহত্তর জনস্বার্থ ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি'-র কথা বিবেচনায় রেখে পুলিশকেই করণীয় স্থির করতে বলেছেন দিল্লি হাইকোর্টের দুই বিচারপতি ডি এন প্যাটেল ও সি হরিশঙ্করের বেঞ্চ। নয়ডা থেকে দিল্লি যাতায়াতে আবেদনকারীর মতো অনেককে যাতে ভোগান্তির মুখে পড়তে না হয়, পুলিশকে সেটা দেখতেও অনুরোধ করেছিলেন বিচারপতিরা।
গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে সিএএ ও প্রস্তাবিত এনআরসি-এর প্রতিবাদে দিল্লির শাহিনবাগে অবস্থান আন্দোলন চালাচ্ছেন কয়েক হাজার মহিলা। বিজেপি একাধিকবার এই আন্দোলনের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে। আন্দোলনকারীদের 'জাতীয়বাদ বিরোধী' বলেও সমালোচনা করে গেরুয়া বাহিনী। পুলিশই নিরাপত্তা সত্ত্বেও গত ১লা ফেব্রুয়ারি এই আন্দোলনের কাছেই গুলি চলে। যা ঘিরে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দিল্লি পুলিশের উচ্চ আধিকারিককে।
Read the full story in English