শাহিনবাগে অনির্দিষ্টকালের জন্য রাস্তা অবরোধ করে রাখা যায় না। সোমবার এমনই পর্যবেক্ষণ করল সুপ্রিম কোর্ট। এ মামলায় আদালতের তরফে জানানো হয়, জনগণের প্রতিবাদ করার অধিকার রয়েছে। কিন্তু অন্যের অসুবিধা যেন না হয়। এ বিষয়ে কেন্দ্র সরকার, দিল্লি সরকার ও পুলিশকে নোটিস দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি। উল্লেখ্য, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় বেশ কয়েকদিন ধরে দিল্লির শাহিনবাগে বিক্ষোভ প্রদর্শন চলছে। শাহিনবাগের বিক্ষোভকে লাগাতার নিশানা করে চলেছে বিজেপি। এই আবহে সুপ্রিম কোর্টের এহেন পর্যবেক্ষণ নয়া মোড় নিল বলেই মনে করা হচ্ছে।
শাহিনবাগে অবস্থান বিক্ষোভের জেরে স্থানীয় বাসিন্দা, এলাকাবাসীদের সমস্যা হচ্ছে বলে আদালতের দ্বারস্থ হন আইনজীবী অমিত সাহিনি ও বিজেপি নেতা নন্দ কিশোর গর্গ। এই আবেদন জানিয়ে আগে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা। গত ১৪ জানুয়ারি এ মামলায় কোনও রায় দেয়নি দিল্লি হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জনস্বার্থের দিকটি যেমন পুলিশকে বিবেচনা করে দেখার নির্দেশ দেয় আদালত, তেমনই আইনশৃঙ্খলার উপরও নজর দিতে বলে।
আরও পড়ুন: শাহিনবাগ আত্মঘাতী হামলাকারীদের আঁতুরঘর: গিরিরাজ সিং
গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে সিএএ ও প্রস্তাবিত এনআরসি-এর প্রতিবাদে দিল্লির শাহিনবাগে অবস্থান আন্দোলন চালাচ্ছেন কয়েক হাজার মহিলা। প্রথম থেকেই শাহিনবাগের বিক্ষোভকারীদের টার্গেট করতে দেখা গিয়েছে বিজেপি নেতাদের। কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং বলেন, ‘‘আত্মঘাতী হামলাকারীদের আঁতুরঘর হয়ে উঠছে শাহিনবাগ’’। এর আগে বিজেপি নেতা পরভেশ ভার্মা বলেছিলেন, ‘‘দিল্লিবাসী জানেন কাশ্মীরে কী ঘটেছিল। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের মেয়ে-বোনদের ধর্ষণ করা হয়েছিল। একই ঘটনা ঘটেছিল উত্তরপ্রদেশ, হায়দরাবাদ, কেরালায়। আজ সেই একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দিল্লির শাহিনবাগে। লাখো মানুষের জমায়েত হয়েছে সেখানে। ওঁরা আপনার বাড়িতে ঢুকে আপনার মেয়ে-বোনকে ধর্ষণ করে মেরে ফেলতে পারে’’। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের একটি সভায় ‘দেশ কে গদ্দারোঁ কো, গোলি মারো শালো কো’ মন্তব্য ঘিরে তুমুল বিতর্ক বাধে। গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘‘জামিয়া, শাহিনবাগের আন্দোলনের নেপথ্যে রাজনীতি রয়েছে। দেশের সম্প্রীতি নষ্ট করতে একটা রাজনৈতিক চক্রান্ত এটা’’।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন