রাস্তা আটকে চলছে শাহিনবাগের সিএএ বিরোধী অবস্থান বিক্ষোভ। অসুবিধা হচ্ছে অন্যদের। ফলে অবস্থান আন্দোলন অন্যত্র সরানোর বিষয়ে শাহিনবাগের প্রতিবাদীদের বোঝাতে মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ করল সুপ্রিম কোর্ট। সন্তোষ হেগড়েকে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে নিয়োগ করেছে সর্বোচ্চ আদালত। এদিন শুনানিতে বিচারপতি কৌল বলেন, 'মানুষের নিজের কথা বলার অধিকার নেই তা বলা হচ্ছে না। কিন্তু, প্রশ্ন হল কোথায় প্রতিবাদ হবে? রাস্তা আটকে আজ এখানে, কাল সেখানে প্রতিবাদ হলে সমস্যার সমাধান হবে না।'
প্রায় দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে শাহিনবাগে সিএএ বিরোধী অবস্থান। সেই অবস্থান বিক্ষোভ সরানোর বিষয়ে আজ সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হবে। এর আগে সুপ্রিমকোর্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছিল যে এভাবে রাস্তা অবরোধ করে মাসের পর মাস কোনও বিক্ষোভ প্রদর্শন চলতে পারে না।
আরও পড়ুন: ‘শাহিনবাগে অনির্দিষ্টকালের জন্য রাস্তা অবরোধ নয়’, পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের
মানুষের স্বার্থ বিঘ্নিত করে আন্দোলন দিনের পর দিন চলতে পারে না বলে এদিন শুনানিতে স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিচারপতু কৌল ও বিচারপতি জোসেফের বেঞ্চ। আদালত জানিয়েছে, 'এই ধরনের জায়গায় রাস্তা আটকে কখনও অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্দোলন চলতে পারে না। প্রতিবাদ যদি চালিয়ে যেতে হয় তবে, অন্যত্র কোথাউ তা সরাতে হবে যেখানে কারোর অসুবিধা হবে না।' সর্বোচ্চ আদালত এও জানিয়েছে যে দিল্লি পুলিশ বিক্ষোভকারীদের জন্য বিকল্প স্থান বেছে দিতে পারে।
শাহিনবাগে অবস্থান বিক্ষোভের জেরে স্থানীয় বাসিন্দা, এলাকাবাসীদের সমস্যা হচ্ছে বলে আদালতের দ্বারস্থ হন আইনজীবী অমিত সাহিনি ও বিজেপি নেতা নন্দ কিশোর গর্গ। এই আবেদন জানিয়ে আগে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা। গত ১৪ জানুয়ারি এ মামলায় কোনও রায় দেয়নি দিল্লি হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জনস্বার্থের দিকটি যেমন পুলিশকে বিবেচনা করে দেখার নির্দেশ দেয় আদালত, তেমনই আইনশৃঙ্খলার উপরও নজর দিতে বলে।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে সিএএ ও প্রস্তাবিত এনআরসি-এর প্রতিবাদে দিল্লির শাহিনবাগে অবস্থান আন্দোলন চালাচ্ছেন কয়েক হাজার মহিলা।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন