শেষ পর্যন্ত ইডি দফতরে গেলেন না এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার। আজ দুপুরেই আর্থিক তছরুপের মামলায় ইডি দফতরে হাজিরা দেবেন বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছিলেন পাওয়ার। শুক্রবার মুম্বইয়ের পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাতের পরই ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার সিদ্ধান্ত বদলান এনসিপি নেতা। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে পাওয়ারকে ইডি দফতরে না যাওয়ার অনুরোধ করেন মুম্বইয়ের সিপি। এরপরই মত বদলান শরদ পাওয়ার।
এনসিপি প্রধানের ইডি হাজিরা ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল। দক্ষিণ মুম্বইয়ের বিভিন্ন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্র স্টেট কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে কেলেঙ্কারির ঘটনায় ক’দিন আগেই পাওয়ারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। মহারাষ্ট্রে ভোটের মুখে যা অস্বস্তিতে ফেলেছে এনসিপি শিবিরকে।
আরও পড়ুন: কেন ম্যাথুকে পাঠিয়েছিলেন? মির্জার গ্রেফতারি নিয়ে মুখ খুললেন মুকুল
এ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার টুইট করে শরদ পাওয়ার জানান, ‘‘মুম্বইয়ে ইডি দফতরে দুপুর ২টো নাগাদ যাব’’। তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘‘আগামী মাস থেকে রাজ্যজুড়ে প্রচারের কাজে বেরোব। মুম্বইয়ের বাইরে অধিকাংশ সময় থাকব। এই প্রেক্ষিতে আমাকে না পেয়ে ওঁরা (ইডি আধিকারিক) যেন না ভাবেন যে আমার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না’’। একইসঙ্গে অনুগামীদের উদ্দেশে শরদ বলেছেন, ‘‘সমস্ত দলের কর্মী-সমর্থকদের কাছে আর্জি রাখছি, আপনারা দয়া করে ইডি দফতরে জমায়েত করবেন না। পুলিশ ও সরকারি এজেন্সির সঙ্গে সহযোগিতা করুন’’।
এদিকে, মহারাষ্ট্রে ভোটের মুখে এনসিপি নেতাকে ইডি-র তলব প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। টুইটারে রাগা লিখেছেন, মহারাষ্ট্রে ভোটের মুখে এমন পদক্ষেপ করা হল। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই এই বিরোধী নেতাকে তলব করা হল।
Read the full story in English