Sharad Pawar: তিনি কংগ্রেস ছাড়লেও, নেহেরু এবং গান্ধিবাদে বিশ্বাস রেখেছেন। বুধবার এক সাক্ষাৎকারে একথা বললেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ শরদ পাওয়ার। এক বই প্রকাশের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এনসিপি প্রধান। পুনের সেই অনুষ্ঠানের ফাঁকেই নানা বিষয়ে অকপট ছিলেন শরদ পওয়ার।
তিনি বলেছেন, ‘মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ১৯৯১ সালে দ্বিতীয়বার তিনি ফিরতে চাননি। কিন্তু চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছিলেন।‘ মহারাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম রাজনৈতিক সব কর্মকাণ্ডে পাওয়ারের প্রভাব দেখেন। এমন মন্তব্য করে প্রবীণ রাজনীতিবিদের দাবি, ‘মহারাষ্ট্র বিধানসভার অধ্যক্ষ নির্বাচনে তাঁর কোনও ভূমিকা নেই। এই বিষয়ে কোন কথাই হয়নি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। যদিও সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে আমার সঙ্গে কথা হওয়ার পরেই নির্বাচনের দিনক্ষণ বদলেছে।‘
শিব সেনার প্রতিষ্ঠাতা বালা সাহেব ঠাকরের সঙ্গে রাজনৈতিক ফারাক থাকলেও মহারাষ্ট্রের উন্নয়নে দু’জনেই সুহৃদ ছিলেন। এদিনের সাক্ষাৎকারে দাবি করেন শরদ পাওয়ার। তিনি বলেছেন, ‘নানাভাবে বালা সাহেব ঠাকরে আমার বিরোধিতা করতেন। কিন্তু তারপরেও আমরা বন্ধু ছিলাম, সহযোগী ছিলাম এবং যৌথ আলোচনার মাধ্যমে মহারাষ্ট্রের উন্নয়নে সিদ্ধান্ত নিতাম।‘
ইউপিএ সরকারের মন্ত্রী থাকাকালীন তৎকালীন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মতবিরোধ দেখা দিয়েছিল। সেই প্রসঙ্গে শরদ পওয়ার বলেন, ‘তৎকালীন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার পক্ষে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। কিন্তু নির্বাচিত এক মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার আমি বিরোধিতা করেছিলাম।‘ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রসঙ্গে পাওয়ারে মন্তব্য, ‘অত্যন্ত পরিশ্রমী এবং যুক্তিবাদী নেতা।‘
এদিকে, চলতি মাসেই সূচি মেনেই বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-শরদ পাওয়ার। প্রায় একঘন্টা বৈঠক হয় শরদ পাওয়ারের বাসভবনে। বৈঠক শেষে দু’জনকেই একসঙ্গে বাইরে আসতে দেখা যায়। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী নবাব মালিক, এনসিপি সাংসদ প্রফুল্ল প্যাটেল এবং তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়।
সেই বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখী হয়ে শরদ পাওয়ার বলেন, ‘সমমনষ্ক দলগুলোকে এক করে বিজেপির বিকল্প ফ্রন্ট নিয়ে কথা হয়েছে। কে হবে বিজেপি বিরোধী ফ্রন্টের নেতা। সেই নিয়ে এখন ভাবার সময় আসেনি। একজোট হয়ে মাঠে নেমে লড়াই এখন লক্ষ্য। যারা লড়াই করবে তাদের সঙ্গে রাখা হবে।’
কংগ্রেসকে সঙ্গে রাখা নিয়ে মমতা বলেন, ‘যারা ময়দানে নেমে লড়াই করবে, তাদের সঙ্গে রাখা হবে। কেউ লড়াই করতে না চাইলে, আমরা কী করব। তখন আমাদের লড়তে হবে।’ তাঁর অর্থপূর্ণ মন্তব্য, ‘বিজেপি বিরোধী জোট মানে এখানে কোনও ইউপিএ নেই। আমরা নতুন বিরোধী জোটের পক্ষে।‘
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন