Advertisment

'ভুলে ভরা' রূপান্তরকামী বিল নিয়ে কী বলছেন শশী থারুর

কংগ্রেস সাংসদ টুইটারে জানিয়েছেন , "সংজ্ঞা অনুযায়ী ভিন্ন যৌন চিহ্নযুক্ত কোনও মানুষ লিঙ্গান্তরকামী নাও হতে পারেন। আবার সে স্বেচ্ছায় তাঁর লিঙ্গ পরিবর্তন করতে চাইতেও পারেন। কিন্তু বিলে ধরেই নেওয়া হয়েছে এরা রূপান্তরই চায়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
shashi tharoor, শশী থারুর

শশী থারুর। ছবি- ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

সোমবার লোকসভায় পাশ হয়েছে রূপান্তরকামী বিল। কেন্দ্রের প্রস্তাবিত বিলে ২৭টি সংশোধনের পর অনুমোদিত হয় রূপান্তরকামী আইন সুরক্ষা বিল, ২০১৬। কিন্তু বিরোধীরা যে সমস্ত সংশোধন দাবি করেছিলেন, সে সব ছাড়াই পাশ হয়েছে বিল। বিরোধীদের অনেকেই বিল নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন। কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর একে 'সমাজকে পিছিয়ে দেওয়া' এবং 'ভুলে ভরা' বিল বলে টুইট করেছেন।

Advertisment

কংগ্রেস সাংসদ টুইটারে জানিয়েছেন , "সংজ্ঞা অনুযায়ী ভিন্ন যৌন চিহ্নযুক্ত কোনও মানুষ লিঙ্গান্তরকামী নাও হতে পারেন। আবার সে স্বেচ্ছায় তাঁর লিঙ্গ পরিবর্তন করতে চাইতেও পারেন। কিন্তু বিলে ধরেই নেওয়া হয়েছে এরা রূপান্তরই চায়। এর প্রেক্ষিতে আমরা সংশোধন চেয়েছিলাম, দুর্ভাগ্যজনক ভাবে কেন্দ্র থেকে বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়াই হয়নি"।

শশী থারুর আরও লিখেছেন, "আমি কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানিয়েছিলাম, শিক্ষার সব স্তরে এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের পড়ুয়াদের যেন সমানাধিকার থাকে। বেসরকারি ক্ষেত্রে এঁদের নিয়োগ না করলে সমাজে এরা প্রান্তিকই থেকে যাবে। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় যেমন ধর্ষণ, যৌন হেনস্থা, ইত্যাদি ক্ষেত্রে কেবলমাত্র মহিলারাই অভিযোগ জানাতে পারে। আমার আবেদন ছিল এই আওতায় রূপান্তরকামীদের ঢোকানো হোক"।

তিনি বলেছেন, "কোনো মানুষ নিজেকে এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের সদস্য হিসেবে পরিচয় দিতে স্বচ্ছন্দ হলে সেটাই হোক তাঁর পরিচয়। সেক্ষেত্রে শারীরিক পরীক্ষা করে তার সত্যতা যাচাই করা ঠিক নয়"।

Read the full story in English

Advertisment