ঠিক যেন সীমা হায়দরের কাহিনীর উলাটপূরণ। প্রেমে পড়ে কাঁটাতার পেরিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে পাক যুবককে বিয়ে করলেন অঞ্জু। নাম বদল করে যদিও তিনি এখন ফতেমা। এরপরই প্রেমিক নাসরুল্লার সঙ্গে বিয়ে সারেন তিনি।
ফেসবুক থেকে বন্ধুত্ব। তারপর প্রেম। সেই প্রেমের টানেই ভারত থেকে পাকিস্তানে পালিয়ে গিয়ে নিজের প্রেমিককে বিয়ে করেন রাজস্থানের অঞ্জু। যদিও এক্ষেত্রে বৈধ ভিসা নিয়েই তিনি পাকিস্তানে পৌঁছান। স্বামী ও দুই সন্তানকে ছেড়ে পড়শি পাক যুবকের প্রেমের টানে পাকিস্তানে যান অঞ্জু। প্রথমে বিয়ের পরিকল্পনা নেই বলেই দাবি করেন অঞ্জুর প্রেমিক নাসরুল্লা। মঙ্গলবার উচ্চ জেলা আদালতেই অনুষ্ঠিত হয় বিয়ের পর্ব বলে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দুজনের বিয়ের ভিডিওও সামনে এসেছে। বিয়ের পর অঞ্জু বলেন, ‘এই বিয়েতে আমি খুব খুশি’।
অঞ্জু উত্তর প্রদেশের কাইলোর গ্রামে জন্ম অঞ্জুর। পরে রাজস্থানের আলওয়ার জেলায় থাকতেন তিনি। নাসরুল্লাহ ও অঞ্জুর মধ্যে ২০১৯ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে আলাপ। বিয়ের ঠিক আগের দিন, নাসরুল্লাহ অঞ্জুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক প্রত্যাখ্যান করে বলেন, তার অঞ্জুকে বিয়ে করার কোন পরিকল্পনা নেই এবং অঞ্জু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে ২০ আগস্ট দেশে ফিরে আসবে।
কিন্তু তারপরেই তাদের দুজনের বিয়ের ভিডিও সামনে এসেছে। অঞ্জু ইতিমধ্যে বিবাহিত দুটি সন্তানও রয়েছে তার। ১৫ বছরের মেয়ে এবং একটি ছয় বছরের ছেলে রয়েছে বিবাহিত অঞ্জুর।
অঞ্জুর স্বামী অরবিন্দ থাকেন রাজস্থানে। অঞ্জু শীঘ্রই ফিরে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। অরবিন্দ বলেন, তাঁর স্ত্রী জয়পুর যাওয়ার কথা বলে বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন, কিন্তু পরে পরিবার জানতে পারে যে তিনি পাকিস্তানে পৌঁছেছেন এবং সেখানেই এক পাক যুবককে বিয়েও করেন। এদিকে এই ঘটনায় অঞ্জুর বাবা গয়া প্রসাদ থমাস বলেছেন, “আমাদের মেয়ে আমাদের কাছে মৃত। ও যেভাবে দুই সন্তান ও স্বামীকে রেখে পালিয়েছে পাক যুবককে বিয়ে করেছে এটা আমাদের কাছে লজ্জার। সন্তানদের কথাও একবারও ভাবেনি অঞ্জু"। তিনি আরও বলেন, "আমি জানি না কিভাবে ও পাসপোর্ট পেয়েছে, কখন ও পাক ভিসা জোগার করে ফেলেছে"।