নিমেষেই গন্ধ শুঁকে জঙ্গি ধরতে ওস্তাদ ছিল সেনাবাহিনীর ৬ বছর বয়সী ল্যাব্রাডর। গতকাল জম্মুর রাজৌরি এলাকায় সেনা-জঙ্গির গুলির লড়াইয়ের মাঝেই প্রাণ গেল আর্মি ডগ ইউনিটের এই মোস্ট ট্রাস্টেড মেম্বারের। সেই সঙ্গে এই এনকাউন্টারে দুই জঙ্গি ও এক সেনার ও মৃত্যু হয়েছে। একই সঙ্গে তিনজন আহত হয়েছেন।
বুধবার জম্মুর রাজৌরি জেলায় জঙ্গি এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে আরও এক জঙ্গির নিহত হওয়ার খবর মিলেছে।এডিজিপি জম্মু মুকেশ সিং বলেছেন যে বুধবার দ্বিতীয় আরেক জঙ্গি এনকাউন্টারে নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় সেনা-জঙ্গির তুমুল গুলির লড়াই। এনকাউন্টারে এক জঙ্গির মৃত্যু হয়। এরপর গভীর রাতে বন্ধ হয় এনকাউন্টার। বুধবার সকালে আবারও অভিযান শুরু হয়, জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি চালানর সময় এনকাউন্টারে আরও এক জঙ্গি নিহত হয় বলেই সেনা সূত্রে খবর মিলেছে। এর সঙ্গেই এনকাউন্টারে একজন সেনা জওয়ানও শহীদ হয়েছেন। এ ছাড়া তিন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। এই গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় ভারতীয় সেনাবাহিনীর কুকুর কেন্ট-এর। আর্মি ডগ ইউনিটের ছয় বছর বয়সী ল্যাব্রাডরও এনকাউন্টারে প্রাণ হারায়। শোকের ছায়া সেনাশিবিরে।
সেনাবাহিনী এক এক্স পোস্টে জানায়, রাজৌরি এনকাউন্টার অপারেশনের সময় হ্যান্ডলারের জীবন বাঁচাতে নিজের জীবন উৎসর্গ করে আর্মি ডগ ইউনিটের মোস্ট ট্রাস্টেড মেম্বার। পলাতক সন্ত্রাসবাদী খোঁজে একদল সৈন্যের নেতৃত্ব দিচ্ছিল কেন্ট। মঙ্গলবার এই এনকাউন্টার শুরু হয়। তথ্য অনুসারে, জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরি জেলার প্রত্যন্ত নারলা গ্রামে সন্ত্রাসবাদী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে এনকাউন্টার শুরু হয়। জম্মু জোনের অ্যাডিশন্যাল ডিজি মুকেশ সিং জানিয়েছেন, গুলিতে এক সেনা জওয়ান আহত হয়েছেন। তিনি পরে চিকিৎসার সময় মারা যান। অন্যদিকে এই হামলায় মৃত্যু হয়েছে আর্মি ডগ ইউনিটের ছয় বছর বয়সী ল্যাব্রাডরও।