মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের দলের নেতাকে থানার ভিতরেই গুলি করে খুনের চেষ্টা বিজেপি বিধায়কের। ঘটনার জেরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় বিজেপি বিধায়ক সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জমি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে বলেই প্রাথমিক তদন্তে জানিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার রাতে মহারাষ্ট্রের উলহাসনগরে শিবসেনা নেতা মহেশ গাইকওয়াডকে গুলি করেন বিজেপি বিধায়ক গণেশ গাইকওয়াড। জানা গিয়েছে, একটি জমি নিয়েই বিবাদ ছিল দুই পক্ষের মধ্যে। তা নিয়ে পুলিশে অভিযোগ জানাতেই হিল লাইন পুলিশ স্টেশনে যান বিজেপি ও শিবসেনার নেতা। সঙ্গে ছিল তাদের সমর্থকরা। অভিযোগ জানানোর সময়ও দুই নেতার মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। হঠাৎই মেজাজ হারিয়ে শিবসেনা নেতা মহেশ গাইকওয়াডকে লক্ষ্য করে চার রাউন্ড গুলি চালান বিজেপি বিধায়ক। মহেশ গাইকওয়াড গুলিবিদ্ধ হন। তাঁর পাশে দাঁড়ানো শিবসেনা বিধায়ক রাহুল পাটিলও আহত হন।
ঘটনার পরপরই আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার পরে, পুলিশ গুলি বিজেপি বিধায়ককে আটক করে। শনিবার সকালে বিজেপি বিধায়ক সহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে গুলিবিদ্ধ শিবসেনা নেতার অবস্থা আশঙ্কাজনক। অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক বলেছেন, মহেশ গাইকওয়াড এবং তাঁর সমর্থকরা তাঁর ছেলের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছিলেন, যার কারণে তিনি আত্মরক্ষার্থে গুলি চালিয়েছিলেন। বর্তমানে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, রাত সাড়ে ১০ টা নাগাদ উলহাসনগরের হিল লাইন থানায় ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে, ডিসিপি সুধাকর পাথারে বলেছেন যে বিজেপি বিধায়ক গণপত গায়কওয়াড় এবং শিবসেনা শিন্দে দলপতি মহেশ গাইকওয়াডের মধ্যে কিছু বিষয় নিয়ে বিরোধ ছিল। এ বিষয়ে তিনি থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেম। কিন্তু, থানায় তাদের মধ্যে বিবাদ এতটাই বেড়ে যায় যে বিজেপি বিধায়ক শিবসেনা শিন্দে গোষ্ঠীর নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আহত নেতাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।