/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/05/modi759.jpg)
রাজীব গান্ধীকে ভ্রষ্টাচারী নম্বর ১ বলে অভিহিত করে কংগ্রেসের সমালোচনার মুখে পড়েছেন মোদী
হিন্দুত্বের ইস্যুতে ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপর চাপ বাড়াল এনডিএ-র শরিক শিবসেনা। নির্বাচন চলাকালীনই তারা দাবি তুলল, অবিলম্বে শ্রীলঙ্কার দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে ভারতে বোরখা ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে।
অযোধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারের ঠিক আগে শিবসেনার মুখপত্র 'সামনা'-র সম্পাদকীয় কলামে ভারতে বোরখা নিষিদ্ধ করার দাবি তোলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া জঙ্গী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে শ্রীলঙ্কার সরকার আইন করে বোরখা ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। শিবসেনার প্রশ্ন, শ্রীলঙ্কা যদি এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে, তাহলে ভারত কেন পারবে না! মোদীর অযোধ্যা সফরের প্রাকলগ্নে 'সামনা' লিখেছে, "রাবণের শ্রীলঙ্কায় বোরখা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রামের অযোধ্যায় কবে হবে? আজ অযোধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কর্মসূচি রয়েছে। তার আগে আমরা এই প্রশ্নটি তুলে ধরতে চাই।"
শিবসেনার দাবি, বিভিন্ন রকমের চাপ উপেক্ষা করে শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি মৈত্রীপাল সিরিসেনা বোরখা নিষিদ্ধকরণের প্রয়োজনীয় সাহস দেখাতে পেরেছেন। শ্রীলঙ্কার সরকারের পক্ষ থেকে নাগরিকদের জানানো হয়েছে, মুখ আবৃত করে রাস্তায় বেরোনো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। 'সামনা'-র সম্পাদকীয় কলামে লেখা হয়েছে, "নিরাপত্তা বাহিনী যাতে যে কোনও কাউকে সহজেই শনাক্ত করতে পারে, সে জন্যই শ্রীলঙ্কার প্রশাসন ও রাষ্ট্রপতি এমন ঘোষণা করেছেন। জনতার একাংশ যদি মুখ ঢেকে রাস্তায় চলাচল করতে থাকেন, তাহলে তা জাতীয় ও সামাজিক নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক।"
নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশ্যে এনডিএ-র শরিক দলটির আহ্বান, "সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের মতো সমান তৎপরতায় বোরখা নিষিদ্ধ করা হোক। এটিও একই ধরনের সাহসিকতার কাজ।" শিবসেনার মতে, মুসলিম সমাজে মহাত্মা জ্যোতিরাও ফুলের মতো সমাজ সংস্কারকরা না আসায় শাহবুদ্দিন, আজম খান বা ওয়েইসি ভাইদের মতো নেতারা প্রভাব বিস্তার করার সুযোগ পান। সেই প্রবণতা রুখতে সরকারকেই হস্তক্ষেপ করতে হবে।