শেষ পর্যন্ত আশঙ্কাই সত্যি হল! কাশীর বিতর্কিত জ্ঞানবাপী মসজিদ থেকে উদ্ধার হল 'শিবলিঙ্গ'। দীর্ঘদিন ধরেই কাশীর এই মসজিদ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর অভিযোগ, এই মসজিদ আগে হিন্দু মন্দির ছিল। পরে, তা ভেঙে মসজিদ করা হয়। সেই বিতর্ককে মাথায় রেখেই হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো বহু বছর আগে থেকেই স্লোগান তুলছে, 'অযোধ্যা পে ঝাঁকি হ্যায়, কাশী-মথুরা বাকি হ্যায়।' এবার কার্যত হিন্দুত্ববাদীদের নৌকোর পালেই জোয়ার লাগল। জ্ঞানবাপী মসজিদে মিলল 'শিবলিঙ্গ'। আর, যেখানে 'শিবলিঙ্গ' পাওয়া গিয়েছে, সেখানে পুজো করতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন কয়েকজন মহিলা। তার প্রেক্ষিতে আদালত নির্দেশ দিয়েছে, যেখানে 'শিবলিঙ্গ' পাওয়া গিয়েছে, সেই জায়গাটা অবিলম্বে সিল করে দিতে হবে। আর, ওই সিল করা জায়গায় কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না।
এর আগে বৃহস্পতিবার আদালত বর্তমান কাঠামো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ও জ্ঞানবাপী মসজিদ কমপ্লেক্স চত্বরের ভিডিওগ্রাফি করার নির্দেশ দিয়েছিল। আদালতের নির্দেশে মন্দির ও মসজিদ চত্বরের বর্তমান পরিস্থিতি ইতিমধ্যেই ভিডিওবন্দি করা হয়েছে। সোমবার দুপুরের মধ্যেই শেষ হয়েছে আদালতের নির্দেশমাফিক সমীক্ষা এবং ভিডিওবন্দি করার কাজ। আদালতের নির্দেশে এই সমীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন আদালত-নিযুক্ত আইনজীবী-কমিশনাররা। ছিলেন জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে মামলাকারী উভয়পক্ষের আইনজীবীরা। এছাড়াও ছিলেন সংশ্লিষ্ট সবপক্ষের প্রতিনিধি এবং আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন- আম আদমির জোর দেখাতে কেরলে কেজরিওয়াল, ময়দানে নতুন ফ্রন্ট
তিন দিন ধরে চলেছে ভিডিও তৈরির কাজ। এর আগে গত সপ্তাহে এই ভিডিও করার আগে সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের জেরে বন্ধ হয়ে যায় ভিডিও নির্মাণ। মঙ্গলবারের মধ্যে ভিডিও আদালতে জমা পড়বে। মসজিদের পক্ষের লোকজনের অভিযোগ, প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা না-নিলে জ্ঞানবাপী মসজিদের পরিস্থিতিও বাবরি মসজিদের মতো হতে পারে। সেই কারণেই, প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। সেই অভিযোগের পরই আদালত গোটা চত্বরে ভিডিওগ্রাফি করার নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি, 'শিবলিঙ্গ' যে চত্বরে পাওয়া গিয়েছে, সেখানে যাতে কেউ প্রবেশ করতে না-পারে, তা উত্তরপ্রদেশ সরকারকে দেখার নির্দেশ দিয়েছে।
Read story in English