দীপাবলিতে বাজি বিক্রি এবং পোড়ানো নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বেশ কিছু রাজ্য। তবে মধ্যপ্রদেশে এখনও সেরকম কিছু নির্দেশিকা জারি করেনি। তবে ওই রাজ্যের দেবস জেলায় কিছু হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের জন্য নিষেধাজ্ঞা ছাড়াই লাটে উঠতে বসেছে বাজি ব্যবসা। অভিযোগ, আতশবাজির প্যাকেটে হিন্দু দেব-দেবীর ছবি কেন রয়েছে তা নিয়ে বাজি কারবারিদের দোকানে এসে হুমকি দিচ্ছে গেরুয়া বসনধারী কিছু যুবক। যা নিয়ে রীতিমতো বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। হিন্দু যুবা বাহিনী ঝালাওয়ার নামে ওই সংগঠনকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
সম্প্রতি একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পরই বিষয়টি নিয়ে হইচই বেড়েছে। সেখানে দেখা গেছে, গেরুয়া গামছা পরা ১০-১৫ জন যুবক মুসলিম বাজি ব্যবসায়ীর দোকানে এসে গন্ডগোল করছে। ব্যবসায়ীকে তাঁরা হুমকি দেয়, দু মিনিটের মধ্যে তাঁর দোকানের লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হবে আর সমস্ত বাজি পুড়িয়ে ফেলা হবে যদি দেখা যায় বাজির প্যাকেটে হিন্দু দেবতা গণেশ কিংবা লক্ষ্মীর ছবি রয়েছে। একজনকে দেখা গিয়েছে ভিডিওতে যে দোকানদারকে শাসাচ্ছে, "এটা অপরাধ!" আরেকজন বলছে, "এটা মা লক্ষ্মীর ছবি, এনাকে আমরা দিওয়ালিতে পুজো করি। আর বাজির প্যাকেট রাস্তায় পড়ে থাকলে সেটা পায়ে লাগে।" অন্য একজন শাসাচ্ছে, "আমরা আপনার ভগবানকে নিয়ে এমনটা করলে ভাল হবে?"
দোকানদার তাঁদের বোঝান, আগেও এধরনের বাজির প্যাকেট বাজারে বিক্রি হয়েছে। আর এটা তাঁরা তৈরি করেন না। তাঁরা শুধু বিক্রি করেন। কোম্পানি এব্যাপারে বলতে পারবে। তাতে ওই হিন্দুত্ববাদী যুবকদের হুঁশিয়ারি, কেন সেটা দেখেও কেনা হল এই বাজি, পরের বার এরকম হলে দোকানে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। তখন যেন দোকানদাররা না বলেন, হিন্দুরা ব্যবসা বন্ধ করে দিয়ে ঘরে বসিয়ে দিয়েছে! খোজেমা আলি নামে ওই দোকানদার পরে জানিয়েছেন, তাঁরা কারও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করতে চান না। কিন্তু এই বাজির প্যাকেটগুলি তৈরি হয় তামিলনাড়ুর শিবকাশীতে। তাঁরা আর এই বাজি বিক্রি করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি ওই দোকানদার।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন