মেজর এবং ক্যাপ্টেন পদমর্যাদার আধিকারিকদের তীব্র ঘাটতির মুখে ভারতীয় সেনা। সেনাবাহিনীর ইউনিটগুলিতে সেই ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে বিভিন্ন সদর দফতরে ‘স্টাফ অফিসারদের’ পোস্টিং কমানোর পরিকল্পনা করছে সেনাবাহিনী এবং এই ধরনের পদগুলিতে অবসরের পর নিয়োগপ্রাপ্ত অফিসারদের নিয়োগের কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। সেনাবাহিনী সম্প্রতি প্রস্তাবিত এই পদক্ষেপ সম্পর্কে বিভিন্ন কমান্ডের কাছ থেকে তথ্য চেয়েছে।
বর্তমানে, মেজর পদমর্যাদার আধিকারিকদের প্রায় ছয় বছর চাকরির পর বিভিন্ন কর্পস, কমান্ড এবং ডিভিশন সদর দফতরে ‘স্টাফ অ্যাপয়েন্টমেন্ট’ পোস্টিংয়ের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। স্টাফ অ্যাপয়েন্টমেন্ট বলতে এমন একটি সদর দফতরে পোস্টিং বোঝায় যেখানে অফিসার বিভিন্ন বিষয়ের নীতি ও সমন্বয় পরিচালনা করেন।
বর্তমানে আর্মি মেডিকেল কর্পস এবং আর্মি ডেন্টাল কর্পস সহ সেনাবাহিনীতে ৮,১২৯ জন অফিসারের ঘাটতি রয়েছে। নৌবাহিনী এবং ভারতীয় বিমান বাহিনীতে যথাক্রমে ১৬৫৩ এবং ৭২১ জন অফিসারের ঘাটতি রয়েছে। অফিসারদের এই ঘাটতির কথা মাথায় রেখে, সেনাবাহিনী আগে যেখানেই সম্ভব নির্দিষ্ট স্টাফ অ্যাপয়েন্টমেন্টের ক্ষেত্রে ৪৬১ হন ‘নন-প্যানেলড’ অফিসারকে পোস্ট করেছিল।
কর্মকর্তাদের মতে, সেনাবাহিনী এই ধরনের নিয়োগের জন্য পুনরায় নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের পোস্ট করার কথা বিবেচনা করছে। পুনঃনিযুক্ত কর্মকর্তারা হলেন তারা যারা চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর দুই থেকে চার বছর সেনাবাহিনীতে চাকরি করেন এবং ব্রিগেডিয়ার ও কর্নেল পদে কর্মরত থাকেন।
সেনাবাহিনীতে বর্তমানে প্রায় ৬০০ জন পুনঃনিযুক্ত কর্মকর্তা রয়েছেন। পুনঃনিযুক্ত কর্মকর্তারা বর্তমান স্টাফ অফিসারদের তুলনায় অনেক সিনিয়র এবং তাদের মধ্যে কেউ কেউ ২০-২৫ বছর আগে এই ধরনের দায়িত্ব সামলেছেন। এক সেনা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, "এইভাবে, শুধুমাত্র নির্বাচিত কিছু অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্তাকে নিয়োগের মাধ্যমে তাদের ঘাটতির স্থানে পোস্টিংয়ের মাধ্যমে কিছু সমস্যা মোকাবিলা করা সম্ভব হবে’।