/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/04/prashant_kishore-1.jpg)
সিধুকে কি তার হাসির মতোই বোঝা দায়! একের পর এক ঘটনা কিন্তু, এই প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। সীমান্তের গোলযোগকে পাত্তা না-দিয়ে পাকিস্তানে বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগদান তা-ও না-হয় বোঝা গেল! কারণ, সিধু মস্ত বড় ক্রিকেটার ছিলেন। কিন্তু, প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বৈঠক? একে ঠিক কীভাবে ব্যাখ্যা করা যায়? তা-ও আবার এমন এক দিনে কিশোরের সঙ্গে সিধু বৈঠক সারলেন, যেদিন কিশোর জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন না। এর পরে পঞ্জাবে কংগ্রেসের নেতা সিধু বৈঠক করে বসলেন প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে। শুধু তাই! সেই বৈঠকের ছবি এক্কেবারে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট। সঙ্গে তাঁর নিজস্ব কায়দায় মন্তব্যও জুড়েছেন সেই ছবির সঙ্গে- 'পুরানো বন্ধু পিকের সঙ্গে চমৎকার বৈঠক হল। পুরানো মদ, পুরানো সোনা আর পুরানো বন্ধুরাই এখনও সেরা!' এসব দেখে নেটিজেনরা বলছেন, 'সত্যিই! সিধুই পারেন।'
Had a wonderful meeting with my old friend PK … Old wine , Old gold and Old friends still the best !!! pic.twitter.com/OqOvkJqJmF
— Navjot Singh Sidhu (@sherryontopp) April 26, 2022
এর আগে মঙ্গলবার কিশোর জানিয়ে দেন, তিনি কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন না। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে, 'এমপাওয়ারড অ্যাকশন গ্রুপ তৈরি করেছে কংগ্রেস।' কিশোর তার সদস্য হতে চান না-বলেও জানিয়ে দিয়েছেন। কারণ হিসেবে জানিয়েছেন, তাঁর বদলে কংগ্রেসের এখন দলের গভীরে ঢুকে যাওয়া কাঠামোগত সমস্যা সংস্কারের মাধ্যমে দূর করতে 'নেতৃত্ব আর যৌথ ইচ্ছা দরকার'। দলের সাংগঠনিক কাঠামোয় এই সব বদল আনার জন্য ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর কংগ্রেস নেতাদের বলেছিলেন। তাঁর পরিকল্পনা দলের নেতাদের সামনে তুলেও ধরেছিলেন। কিন্তু, হাইকমান্ড কিশোরের এই সব পরিকল্পনা গ্রহণ করেনি। দলের প্রবীণ নেতাদের সঙ্গে হাইকমান্ডের আলোচনায় কিশোরের কৌশল নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন- পিএম কেয়ার্সের সরকারি স্বীকৃতির দাবি আদালতে
ইতিমধ্যে কিশোরের ভূমিকায় তেলেঙ্গানায় বিড়ম্বনায় পড়েছে কংগ্রেস। ১০ জনপথের সঙ্গে যখন কিশোরের যোগ দেওয়া নিয়ে আলোচনা চলছে, সেই সময় তাঁর সংস্থা আই-প্যাক তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির সঙ্গে চুক্তি করে ফেলেছে। তেলেঙ্গানার কংগ্রেস নেতাদের অভিযোগ, বিপুল অর্থের বিনিময়ে এই চুক্তি হয়েছে। সেই খবর জানাজানি হতেই কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা তেলেঙ্গানায় দলের বিধায়ক আর সাংসদদের ফোন করা শুরু করেছেন। তাঁদের একটাই প্রশ্ন, 'কংগ্রেস কি তাহলে তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির সঙ্গে জোট করতে চলেছে?' একই প্রশ্ন উঠে এসেছে অন্ধ্রপ্রদেশেও। কিশোরের দলে যোগ না-দেওয়ার সিদ্ধান্ত কর্মীদের এই সব প্রশ্নবাণ থেকে আপাতত রেহাই দিল কংগ্রেস হাইকমান্ডকে। কিন্তু, তার মধ্যেই আবার প্রশ্ন উঠে গেল সিধুকে নিয়ে। কীসের জন্য এই সময়ে আচমকা 'পুরানো বন্ধু' প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বৈঠক করতে হল সিধুকে? সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি প্রকাশও করতে হল?
Read story in English