সিরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভাভ্যাক্সের শিশুদেহে ট্রায়ালে ছাড়পত্র চাইল সংস্থা। ইতিমধ্যে এই টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে ভারতে। মার্কিন সংস্থা নোভাভ্যাক্সের ভারতীয় সংস্করণ কোভাভ্যাক্স।দেশে এই টিকা তৈরির লাইসেন্স পেয়েছে সিরাম ইনস্টিটিউট। এর আগে অক্সফোর্ড এবং অ্যাস্ট্রেজেনেকার সঙ্গে যৌথভাবে কোভিশিল্ড তৈরি করেছে পুনের এই টিকা উৎপাদক সংস্থা। সম্প্রতি ড্রাগ কন্ট্রোলার অফ ইন্ডিয়াকে চিঠি পাঠিয়ে শিশুদেহে কোভাভ্যাক্সের ট্রায়ালের অনুমতি চেয়েছে তারা।
শুক্রবার সংস্থার কর্ণধার আদর পুনাওয়ালা ট্যুইটে লেখেন, ‘একটা নতুন মাইলস্টোন তৈরি হয়েছে। এই সপ্তাহে আমরা কোভাভ্যাক্সের প্রথম ব্যাচ উৎপাদন শুরু করব। এই টিকার আমাদের দেশের আগামি প্রজন্ম, ১৮ বছরের নীচে যারা, তাদের রক্ষা করতে কার্যকরী ভূমিকা নেবে।‘ এদিকে, দৈনিক সংক্রমণ ফের নামলো ৫০ হাজারের নীচে। কিন্তু এতেই স্বস্তির কোনও কারণ দেখছে না কেন্দ্র। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ প্রায় শেষের পথে হলেও আপাতত আশঙ্কার জাল বিস্তার করেছে ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট। সংক্রমণ এড়াতে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
গত ২৪ ঘন্টায় দেশে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৪৮ হাজার ৬৯৮ জন। চারদিন পর দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ফের ৫০ হাজারের কম হয়েছে। একদিনে দেশে সুস্থতার হার ৬৪ হাজার ৮১৮ জন। সক্রিয় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা কমে হয়েছে ৫ লক্ষ ৯৫ হাজার ৫৬৫ জন। গত ২৪ ঘন্টায় মারণ ভাইরাসে প্রাণ গিয়েছে ১ হাজার ১৮৩ জনের।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে ভারতে এখনও পর্যন্ত মোট কোভিড সংক্রমিতের সংখ্যা হল ৩ কোটি ০১ লক্ষ ৮৩ হাজার ১৪৩ জন। দেশজুড়ে করোনাজয়ীর সংখ্যা ২ কোটি ৯১ লক্ষ ৯৩ হাজার ৮৫ জন। সুস্থতার হার প্রায় ৯০ শতাংশ। মোট মৃত ৩ লক্ষ ৯৪ হাজার ৪৯৩ জন।
৩১ কোটির বেশি মানুষ এখনও ভারতে টিকা পেয়েছেন। গত ২৪ ঘন্টায় টিকাকরণের হার ১৭ লক্ষ ৪৫ হাজার ৮০৯। ভয় বাড়াচ্ছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। শুক্রবার স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ভারতের ন্যূনতম ১৭৪ জেলায় রয়েছে এবং এর উপ-বংশ ডেল্টা প্লাসের সন্ধান মিলেছে ১০ জেলার ৪৮ জনের শরীরে। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের জন্যই দেসে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ এপ্রিল-মে মাসে তীব্র আকার ধারণ করেছিল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন