আগামি এক মাসের মধ্যে ৯-১০ কোটি কোভিশিল্ড উৎপাদন করতে পারবে সিরাম ইনস্টিটিউট। কেন্দ্রকে রবিবার জানাল পুনের সংস্থা। ইতিমধ্যে টিকার অপর্যাপ্ত সরবারহের কারণে দেশব্যাপী টিকাকরণ খানিকটা থমকে রয়েছে। একাধিক রাজ্যে বন্ধ করেছে তাদের টিকাদান কেন্দ্র। এই আবহে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে চিঠি লিখে এই লক্ষ্যমাত্রা সামনে আনল সিরাম। সেই চিঠিতে উল্লেখ, ‘তাদের কর্মীরা একাধিক প্রতিবন্ধকতা সঙ্গী করে প্রায় ২৪ ঘণ্টাই কাজ করছেন।‘
এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হলে, আগামি মাসে প্রায় সাড়ে তিন কোটি কোভিশিল্ড বেশি পাবে কেন্দ্র। চলতি মাসে সাড়ে ৬ কোটি টিকা উৎপাদন করে সরবারহ করেছে পুনের এই সংস্থা।
এদিকে, আরটি-পিসিআর থেকে সহজ পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষার উপায় বাতলে দিলেন নাগপুরের একদল গবেষক। স্যালাইন দিয়ে সহজেই করা যাবে করোনা পরীক্ষা।এতে কোনও প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীর প্রয়োজন পড়ে না এতে। বর্তমান পদ্ধতিতে নাক এবং গলা থেকে নমুনা সংগ্রহের সময়ে অনেকেরই সমস্যা হয়। নয়া পদ্ধতিতে গার্গল করা স্যালাইন জল থেকেই তিন ঘণ্টার মধ্যে কোভিড রিপোর্ট পাওয়া সম্ভব।
এই পদ্ধতির উদ্ভাবক নাগপুরের ‘এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট’-এর বিজ্ঞানী কৃষ্ণ খৈরনারের নেতৃত্বাধীন বিজ্ঞানীরা। নতুন পদ্ধতিকে অনুমোদনও দিয়েছে আইসিএমআর। নতুন পদ্ধতিতে কী ভাবে করোনা পরীক্ষা করা হবে, তা নিয়ে টুইটারে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন খৈরনার।
তিনি জানান, এই পদ্ধতিতে যে কেউ নমুন সংগ্রহ করতে পারেন। একটি টিউবের ভিতর রাখা থাকবে স্যালাইন জল। ওই জল মুখে নিয়ে ১৫ সেকেন্ড ধরে গার্গল করতে হবে। তার পর তা ওই টিউবেই তা ফেলে দিতে হবে। এটাই নমুনা সংগ্রহের পদ্ধতি। ওই নমুনা এবার ল্যাবে নিয়ে গিয়ে অন্য আরেকটি বাফার সলিউশনের সঙ্গে মিশিয়ে ঘরের তাপমাত্রায় আধ ঘণ্টা মতো রেখে দিতে হবে।
তার পর ওই তরল নমুনাটি ৯৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ৬ মিনিট ধরে ফোটালেই তা থেকে আরএনএ পাওয়া যাবে। যা থেকে সহজেই জানা যাবে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত কি না।
নতুন পদ্ধতিতে খুব সহজেই এবং কম সময়ে করোনা পরীক্ষা সম্ভব বলে জানাচ্ছেন খৈরনার। গ্রামে বিশেষত আদিবাসী এলাকায় একসঙ্গে বহু মানুষের করোনা পরীক্ষা সম্ভব এই পদ্ধতিতে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন