গত ৮ জুলাই কানাডায় দুটি দল দুটি কুচকাওয়াজে অংশ নিয়েছিল। একটি ভারতপন্থী এবং অন্যটি বিরোধী। কানাডার ওকভিলের একটি গুরুদ্বার, ব্রাম্পটনের গ্রেটার টরন্টো এলাকা থেকে ৪০ কিমি দূরে, এই সমাবেশ দেখা গিয়েছিল। শিখ এবং হিন্দুদের একটি মণ্ডলী 'সুখমনি সাহেব' পাঠের সঙ্গেই শান্তির জন্য প্রার্থনা করতে একত্রিত হয়েছিল।
Advertisment
গত বছরের নভেম্বরে কানাডায় খালিস্তানের দাবি জোরালো হয়ে ওঠার পরই পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে ওঠে। যা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মেও ছড়িয়ে পড়ে। ফলে কানাডা থেকে ভারত, অনেকেই অশান্তির আশঙ্কায় আশঙ্কিত হয়ে পড়েন। তবুও প্রবাসী ভারতীয়রা এবং কানাডার অন্যান্য বিশিষ্টরা এই অশান্তি পাকানোর চেষ্টার বিরোধিতা করেছেন। তাঁরা স্পষ্ট জানিয়েছেন, শিখ মানেই খালিস্তানপন্থী নয়।
এই বিতর্কের সূত্রপাত নিষিদ্ধ শিখ সংগঠন শিখ ফর জাস্টিসের সংগঠিত খালিস্তান ইস্যুতে দুটি গণভোট এবং একটি কুচকাওয়াজ। যে কুচকাওয়াজে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর হত্যাকাণ্ডকে তুলে ধরা হয়েছে। বোঝানোর চেষ্টা হয়েছে, ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর হত্যাকাণ্ড আসলে শিখদের মুক্তিসংগ্রাম। গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছিল ভারত সরকার। বিদেশ মন্ত্রক কঠোর ভাষায় গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে। একইসঙ্গে, কানাডা সরকারকেও ঘটনার নিন্দা করতে আহ্বান জানিয়েছিল। পালটা, ভারতীয় দূতাবাস অথবা উপদূতাবাসের সামনে খালিস্তানের দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল নিষিদ্ধ শিখ সংগঠনের সদস্যরা।
ওয়ার্ল্ড শিখ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএসও)-এর প্রাক্তন সভাপতি ইন্দ্রজিৎ সিং বাল বলেন, 'গোটা বিষয়টি পরিস্থিতি খারাপ করেছে। কিন্তু এই গোলমাল এখানকার নীরব সংখ্যাগরিষ্ঠ শিখদের প্রতিনিধিত্ব করে না। পাঞ্জাবিতে বললে বলতে হয়, জদ্দন ঢোল বাজদা হ্যায় তে দি আওয়াজ না সুন্দি (যখন কেউ ঢোল বাজায়, কেউ বাতাসের যন্ত্রের শব্দ শুনতে পায় না)।'