করোনার নতুন ভেরিয়েন্টে কাঁপছে সিঙ্গাপুর। আক্রান্তের সংখ্যা অর্ধলক্ষ ছাড়িয়ে গেছে। তার মধ্যেই কেরলে করোনার নতুন সাব-ভেরিয়েন্ট জেএন.১ পাওয়া গেছে। তামিলনাড়ুতে আক্রান্তের সংখ্যা আট। সোমবার নতুন করে পাঁচ জন মারা গিয়েছেন করোনায়। এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞদের একাংশের আশঙ্কা বাড়িয়ে ফের মাস্ক চালুর দাবি উঠেছে। করোনার এই নতুন ঢেউয়ে সিঙ্গাপুরে শুধু এক সপ্তাহেই আক্রান্ত ৫৬,০০০। শুধুমাত্র ৩ থেকে ৯ ডিসেম্বর ৫৬,০৪৩ কোভিড কেস নথিবদ্ধ হয়েছে। আগের সপ্তাহে সেটাই ছিল ৩২,০৩৫। এমনটাই জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। সেসব মাথায় রেখে স্বাস্থ্য মন্ত্রক নাগরিক এবং ভ্রমণকারীদের সিঙ্গাপুর সফরে না-যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছে।
চিনের মূল ভূখন্ডে প্রায় একমাসের মধ্যে কোভিড-১৯ সাবভেরিয়েন্ট জেএন.১ সংক্রামিত হওয়ার সাতটি হালকা এবং উপসর্গবিহীন কেস শনাক্ত হয়েছে। ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত অন্তত ৪০টি দেশ সাবভেরিয়েন্টের রিপোর্ট করেছে। বেজিং-ভিত্তিক ইমিউনোলজিস্টের মতে, আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি হওয়ার সম্ভাবনা। সম্ভবত, সম্ভাবনাগুলো জেএন.১ ভেরিয়েন্টই। ফলে, আরও বেশি উদ্বেগ বেড়েছে। চিনা স্বাস্থ্যকর্তাদের মতে, শ্বাসযন্ত্রের রোগজীবাণু পর্যবেক্ষণের সময় কোনও অজানা ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া পাওয়া না-যাওয়ায় অনেক ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)-এর রিপোর্ট অনুসারে, ২১ নভেম্বর বিশ্বব্যাপী নজরদারি প্রয়োজন, এমন একটি করোনা ভেরিয়েন্ট বিএ.২.৮৬ পাওয়া গিয়েছে। ফলে, ব্যাপারটা যেন গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মত হয়ে উঠেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৭টি রাজ্যে কোভিড-১৯ এবং অন্যান্য ফ্লু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বেশ কয়েকজন। শ্বাসযন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার অভিযোগও রয়েছে। এবিসি নিউজ নতুন ফেডারেল ডেটা উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, গত শুক্রবার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) দ্বারা আপডেট করা তথ্য অনুযায়ী, টানা চতুর্থ সপ্তাহে (ডিসেম্বর ৯-এ শেষ হওয়া), কোভিড-১৯ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৩,৪৩২। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড-১৯ নিয়ে গত মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বেশ কিছু রোগী। সংখ্যাটা প্রায় ২০০ শতাংশ। এই রোগীদের মধ্যে ছিলেন সমস্ত বয়সিরাই।
আরও পড়ুন- বিকাশের সংকল্পে ভারত, সংস্কৃতিতে বিরাট পদক্ষেপ! কাশীর সঙ্গে তামিল ভাবধারাকে মেলাচ্ছেন মোদী
এবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা রুখতে আরএসভি ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। পরিস্থিতি দেখে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্টালিন রাজ্যের চিকিৎসা পরিকাঠামোকে ইতিমধ্যেই আপগ্রেড করেছেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ভারতে প্রবেশের বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রবেশের পয়েন্টগুলোতে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে নজরদারির ব্যবস্থা করেছে। জনস্বাস্থ্য এবং হাসপাতালের মূল্যায়ন করার জন্য নিয়মিত অনুশীলনের অংশ হিসেবে জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন। এই টানা নজরদারি সোমবারই শেষ হবে।